নৃত্যশিল্পীর প্রেমে পড়ে রেখাকে একাধিক চড় মারেন অমিতাভ, তারপর

সত্তরের দশকে বলিউডে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ও তখনকার হিট নায়িকা রেখার প্রেম ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। রুপালি পর্দার প্রেমকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল তাদের বাস্তবের প্রেম। ১৯৭৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দো আনজানে’ দিয়ে অমিতাভ-রেখার পর্দার রসায়ন শুরু। শেষ হয়েছিল ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সিলসিলা’ দিয়ে।

এরপর আর কোনো ছবিতে একসঙ্গে দেখা যায়নি তখনকার দর্শকপ্রিয় এই জুটিকে। কী এমন ঘটেছিল যে, এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটে গেল এক ঝটকায়? অমিতাভ অবশ্য চিরকালই নীরব থেকেছেন এই ব্যাপারে।

তবে রেখা মুখ খুলেছেন। ইয়াসের উসমানের লেখা ‘রেখা: দি আনটোল্ড স্টোরি’ গ্রন্থে তিনি জানিয়েছেন, হঠাৎ এক দিন অমিতাভের কাছ থেকে বার্তা আসে, আর নয়। আর কোনো ছবিতেই তিনি আর রেখা কাজ করবেন না।

কেন এমন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন অবশ্যই করেছিলেন রেখা। কিন্তু অমিতাভের উত্তর ছিল, ‘না’। এ বিষয়ে আর কোনো শব্দ তিনি উচ্চারণ করবেন না। কিন্তু অমিতাভ-রেখার প্রেমের মাঝেই ঘটেছিল এক ভয়ংকর ঘটনা। রেখা নিজেই তা প্রকাশ করেছেন।

‘লাওয়ারিশ’ ছবির শুটিংয়ের সময় অমিতাভ একজন ইরানি নৃত্যশিল্পীর প্রেমে পড়েন। তত দিনে তিনি জয়াকে বিয়ে করেছেন এবং রেখার সঙ্গেও তার প্রেম চলছে। এর মধ্যে আবার প্রেম?

এই খবর তখন বলিউডের সকলের মুখে মুখে। রেখার কানেও তা পৌঁছায়। রেখা রেগে গিয়ে সরাসরি অমিতাভের কাছে এই প্রেম নিয়ে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। বেশ কিছুক্ষণ উভয়ের মধ্যে ঝগড়া চলার পরে থাকতে না পেরে বেশ রেগে গিয়ে অমিতাভ রেখাকে সপাটে চড় মারেন। একবার নয়, বেশ কয়েক বার। তাও আবার সেই নৃত্যশিল্পীর জন্য।

স্তব্ধ হয়ে যান রেখা। সিদ্ধান্ত নেন শুধু ওই ছবিতেই নয়। অমিতাভের সঙ্গে আর কোনো দিনই তিনি ছবি করবেন না। পরবর্তীতে অবশ্য যশ চোপড়ার অনুরোধেই রেখা ‘সিলসিলা’ ছবিতে কাজ করতে রাজি হন। কিন্তু ওই চড়ের কথা রেখা কোনো দিন ভোলেননি।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy