নিউইয়র্কে রাতারাতি হিরো বনে গেলেন সেই সাহসী যুবক, জানালেন তার অভিজ্ঞতার কথা

নিউইয়র্কের সাবওয়েতে বন্দুক হামলাকারীকে গ্রেফতারে পুলিশকে সহায়তাকারী সেই সিরীয় অভিবাসী যুবক রাতারাতি হিরো বনে গেছেন।

১২ এপ্রিল নিউইয়র্কের ব্রুকলিন সাবওয়েতে এক বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে স্টেশনেই অনেক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন এবং যন্ত্রণায় আর্তনাদ করতে থাকেন।

টিভিতে এ দৃশ্য দেখেন ২১ বছর বয়সি সিরীয় যুবক জাকারিয়া তাহহান। হঠাৎ তার চোখ পড়ে হামলাকারীর ওপর। কেন যেন তার মনে হয় কোথায় যেন তাকে দেখেছেন।

এর পর তার হঠাৎ মনে পড়ে, হামলাকারী তার সঙ্গে আগে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোন দেন পুলিশকে।

ফ্রাংক জেমস নামে ওই সন্ত্রাসীকে তখন ধরিয়ে দেন এই সিরীয় ওই যুবক।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমার যখন ১৩ বছর বয়স, তখন ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

চোখের সামনে মানুষ মানুষকে হত্যা করার বিভৎস দৃশ্য দেখেছি। এ কারণে যখনই কোনো হামলার ঘটনা দেখি, তখনই আমার পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে।

আমি মনে করি, যেসব নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলা হয়েছে, তাদেরও স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার-পরিজন আছে। কেন অকারণে মানুষ মানুষকে হত্যা করছে।

তাই টিভিতে হামলাকারীকে দেখামাত্র পুলিশকে ফেন দিই এবং তাকে গ্রেফতারে সব ধরনের সহযোগিতা করি।

এ ঘটনার পরে রাতারাতি হিরো বনে যান সিরীয় এ তরুণ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে বর্তমানে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের বসবাস করছেন।

গ্রেফতারের পর হামলাকারী পুলিশকে জানিয়েছেন, আরও ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। অর্থাৎ তাকে যথাসময়ে গ্রেফতার করতে না পারলে আরও হামলার আশঙ্কা ছিল।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy