ইতি রানী ও রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি। তাদের প্রেম দীর্ঘদিনের। মন্দিরে গিয়ে তারা বিয়েও করেন। তবে বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনই। এর মধ্যেই মমতা রানীর সঙ্গে প্রেম হয় রনির। মাঝে মধ্যেই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। হঠাৎ এক রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। এরপর ফেঁসে যান প্রেমিক ‘বাবু’। মমতাকেও তাকে বিয়ে করতে হবে।
১৩ এপ্রিল মমতা-রনির বিয়ের আয়োজন করা হয়। আর এ খবর শুনে রনির বাড়িতে অনশন শুরু করেন আগের স্ত্রী ইতি। এরপর তিন পরিবারের উপস্থিতিতে ঘটা করে পারিবারিকভাবে এক বরের সঙ্গে দুই প্রেমিকার বিয়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বুধবার রাতে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার এলাকায় রনির বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
২৫ বছর বয়সী রনি লক্ষীদ্বার এলাকার যামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে। ২০ বছরের ইতি একই ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে। আর ১৮ বছরের মমতা লক্ষীদ্বার এলাকার টোনোকিসর রায়ের মেয়ে। এ ঘটনায় তিন পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ না থাকলেও এলাকায় দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।
এ বিষয়ে রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মন বলেন, দুজনকে একসঙ্গে ঘরে তুলতে আমাদের আপত্তি ছিল না। তবে আগের বিয়ের বিষয়ে যেহেতু জানা ছিল না তাই নতুন করে আমি আবার বিয়ের আয়োজন করেছি।
ইতি রানীর বাবা গিরিশ চন্দ্র বলেন, আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। রোহিনীর বাড়িতে আনুষ্ঠানিক বিয়েতে আমরা তিন পরিবারের লোকজনই ছিলাম।
এ বিষয়ে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি।