পশ্চিমবঙ্গে ১৫ মে থেকে ১৫ জুন ইলিশ ধরার ওপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। কারণ জলে বাড়তে থাকা জাটকা বড় হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সমুদ্রে জাল পড়েছে ১৬ জুন থেকে। প্রতি বছর ১৮ থেকে ২০ জুনের মধ্যে কলকাতার বাজারে ইলিশ ভরে যায়।
দক্ষিণবঙ্গে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ ঘটেছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি নেই। তাই এখনও বাজারে দেখা নেই ইলিশের।
২০ জুনের পরেই বাজারে ইলিশ চলে আসার কথা ছিল । দক্ষিণবঙ্গে বেশি বৃষ্টি না হওয়ায় বাজারে দেখা দিয়েছে ইলিশ সংকট।
বৃষ্টির অভাবে এ বছর ইলিশ নেই বাজারে। দক্ষিণবঙ্গে ১৩ জুন মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও ২২ জুন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হয়নি দক্ষিণবঙ্গে। উপকূলবর্তী দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এ সময় রাজ্যের ইলিশের ন্যূনতম দৈনিক চাহিদা ৮০ থেকে ১০০ মেট্রিক টন। বর্তমানে জোগান রয়েছে মাত্র ৩৫ মেট্রিক টন।
বুধবার সকালে কলকাতার বৃহত্তম মাছের হোলসেল মার্কেট পাতিপুকুরে কাকদ্বীপ, নামখানা থেকে এসেছে ২৫ মেট্রিক টন ইলিশ। এর ওজন ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম। এই মাছের স্বাদ কাঙ্ক্ষিত নয় এবং কাঁটা ভর্তি। আর এই মাছেরই দাম প্রায় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা।
ওড়িশ্যার বালাসোর মোহনা থেকে এসেছে মাত্র ৩ মেট্রিক টন ইলিশ। ওজন ১২০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি। এর দাম দেড় হাজার থেকে ১৭৫০ টাকা।