তীব্র সংকটে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ৫০ বছরে এর মধ্যে এমন সংকট দেখেনি শ্রীলঙ্কার বাসিন্দারা। গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী রাজাপাক্ষে পদত্যাগ করেন। তারপরেই বিক্ষোভের আগুন আরও তীব্র হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজাপাক্ষের পৈত্রিক ভিটে। ভাঙচুর চালানো হচ্ছে মন্ত্রীদের বাড়িতে। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। চরম সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে।
পুড়ছে শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। রাজাপাক্ষে ক্ষমতায় থাকাকালীনই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। গত পরশু দুপুরে রাজাপাক্ষে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। তারপরেই আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। গতকালই শাসক দলের একের পর এক সাংসদ এবং মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গুলিতে এখনও পর্যন্ত শাসক দলের ৮ জন নেতা মন্ত্রী মারা গিয়েছেন। রেহাই পায়নি প্রধানমন্ত্রী রাজাপাক্ষের পৈত্ৰিক ভিটেও।
শাসকহীন শ্রীলঙ্কা
এককথায় বলতে গেলে সোনার লঙ্কা পুড়ছে বিদ্রোহের আগুনে। রাজাপাক্ষের পদত্যাগের পর অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। আসন খালি প্রধানমন্ত্রীর। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন রাষ্ট্রপতি। পরিবারকে নিয়ে রাজাপাক্ষে আত্মগোপন করেছেন। রাজাপাক্ষের সরকারি আবাসনের বাইরে অসংখ্য বিক্ষোভকারী জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এবং আবাসনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
ধর্মঘটে সরকারি কর্মীরা
একদিকে চরম অচলাবস্থা গোটা দেশে। তার মধ্যেই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন শ্রীলঙ্কার সরকারি কর্মীরা। এমনকী শ্রীলঙ্কার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের কর্মীরাও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। সেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রায় ২০০০ শ্রমিক সংগঠন।
চরম আর্থিক সংকটে দেশ
শ্রীলঙ্কা স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর থেকে এমন কোনো আর্থিক সংকট দেখেনি গোটা দেশ। কিন্তু শাসকের একের পর এক ভুল নীতির মাশুল দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। যার জেরে ঐতিহাসিক জনরোষের শিকার হয়েছে সরকার। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব শ্রীঙ্কার বাসিন্দাদের দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন।