‘টাকার অভাবে বাড়ি বিক্রি করতে চেয়েছিলাম’, শত্রুঘ্ন সিনহা জানালেন দুঃসময়ের কথা

বলিউড সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে এসে শুরুর দিকে বাকি সকলের মতো করেছিলেন স্ট্রাগল। পরিস্থিতি এমন ছিল যে টাকার অভাবে বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা।

এমনকি টাকা ধার চাইলে চড়া সুদ চেয়ে সুভাষ ঘাই! তবে সেই সময় শত্রুঘ্নকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন সঞ্জীব কুমার। নিজের আত্মজীবনী ‘এনিথিং বাট খামোশ’ -এ সেই দুঃসময়ের কথা তুলে ধরেছেন আসানসোলের নতুন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।

তিনি লিখেছেন ‘ ৮০ দশকের গোড়ায় তাঁর ১০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন ছিল। নিজের ফ্ল্যাট বিক্রি করবার কথা মনোস্থির করলেও বাধ সাধেন স্ত্রী পুনম। ‘আমি খুব আত্মসম্মানী,কারুর কাছে হাত পাততে আমার বিবেকে বাধে’,

ফিল্মমেকার সুভাষ ঘাইয়ের কাছে টাকা চেয়েছিলাম , সাহায্য না করে সুভাষ ঘাই বলেছিলেন- ‘আমাকে সুদ দিতে হবে কিন্তু’। শত্রুঘ্ন সিনহা লেখেন, সঞ্জীব কুমার যেচে এগিয়ে এসে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। অভিনেতা লেখেন, ‘আমার বন্ধু, পথপ্রদর্শক সঞ্জীব কুমার, যিনি আজ আর আমাদের মধ্যে নেই তিনি আমার বেহাল দশা থেকে জানতে চেয়েছিলেন কী হয়েছে? আমি যখন তাঁকে আমার সমস্যার কথা জানাই, তিনি শুধু প্রশ্ন করলেন-আমি টাকাটা কবে ফেরত দিতে পারব। আমি জানাই, যে মুহূর্তে আমার পক্ষে সম্ভবপর হবে। পরদিন সকালে ওঁনার সেক্রেটারি যুমনাদাসজি আমার বাড়িতে এলেন, কিছু না জানিয়েই। খবরেকাগজে মোড়া কিছু একটা নিয়ে উনি এসেছিলেন।

এরপর বললেন, ‘ভাই আপনাকে একটা ভিডিয়ো ক্যাসেট পাঠিয়েছে। ওটাতে কোনও ক্যাসেট ছিল না। আমার যে পরিমাণ টাকার দরকার ছিল, সেটা উনি পাঠিয়েছিলেন। আমাকে কিছু না জানিয়েই উনি ওই টাকাটা পাঠান। আমি পরে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ওঁনাকে কত সুদ দিতে হবে। আমার আর ওঁনার একই জীবনদর্শন ছিল। বন্ধুদের মধ্যে সুদের কথা কেন আসবে?’

শত্রুঘ্ন সিনহা আরও জানান, ‘যখন টাকাটা ফেরত দেওয়া সম্ভবপর ছিল তিনি জানিয়েছিলেন। তবে সব টাকাটা ফেরত নেননি সঞ্জীব কুমার। কিছু কিছু করে টাকা নিতেন তিনি, যখন যেমন দরকার পড়ত। আমি নিজেও জানি না পুরো টাকাটা উনি ফেরত নিয়েছিলেন কিনা। বোধহয় কিছু টাকা আজও বাকি রয়ে গেছে। উনি চলে যাওয়ার পর আমি কাকে দিতাম ওই টাকা? ওঁনার সব সম্পত্তি নয়-ছয় হয়ে গেল’।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy