
উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে জ্ঞানব্যাপি মসজিদ নিয়ে বিতর্ক চলছে নাগাড়ে। একে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে একই দাবি। বিভিন্ন মসজিদকে নিয়ে দাবি করা হচ্ছে যে তার তলায় রয়েছে হিন্দু শিল্প বা আছেন হিন্দু দেব দেবী। তা ভেঙে দিয়েছিলেন কোনও সুলতান বা নবাব। আসল সত্যিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে এমন দাবি করা হচ্ছে। তালিকায় তাজমহল তো আছেই। এবার একই দাবী উঠল পাঞ্জাবেও।
কী বলা হচ্ছে?
মন্দির মসজিদ উত্তেজনা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক এবার পাঞ্জাবের পাতিয়ালার রাজপুরায় দেখা গেল। শিখ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা মুসলিম সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক দখল ও মসজিদে পরিণত করার অভিযোগ করেছে।
কী বলছেন মুসলিমরা?
মুসলিম সম্প্রদায় এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে গুজরানওয়ালা মহল্লার মসজিদটি প্রাক-স্বাধীনতার যুগের। যা হয় স্বাভাবিক ভাবেই সেটা হচ্ছে। ফলে দেশের মধ্যে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অবশ্য এখন এই সমস্যা হিন্দু মুসলিমে থেমে নেই। শিখ, তামিল, এই নানা সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের।
দাবি কী?
স্থানীয়দের মতে, দুটি শিখ পরিবার ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিতর্কিত ওই কাঠামোতে বসবাস করছিল এবং তাদের ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওয়াকফ বোর্ড ২০১৬ সালে কাঠামোর উপর দাবি করেছিল বলে জানা গিয়েছে। কাঠামো থেকে শিখ ধর্মের চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
কর্তৃপক্ষ আইন
স্থানীয়রা বলে যে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের লোকেরা এলাকায় সমস্যা তৈরি করছে, কাঠামোর কাছে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। উভয় পক্ষকে তাদের দাবি প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। নথি জমা দেওয়ার জন্য দুই দিনের সময়।