এই সময়ে সারা দেশে কারও পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে আধার কার্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধার কার্ড ছাড়া কোনও কাজ করা প্রায় অসম্ভব। আধার কার্ডের বিশেষ কিছু বৈশিষ্টের কারণে অন্য সব পরিচয় পত্র থেকে এটি আলাদা। আধার কার্ডে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য। এখানে প্রতিটি নাগরিকের হাতের আঙুলের ছাপ এবং চোখের রেটিনা স্ক্যান করা থাকে। প্রায় সব কাজেই আধার কার্ড মাস্ট। যেমন ছোটদের স্কুলে ভর্তি কিংবা কলেজে ভর্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা প্রভৃতি।
আধার কার্ডে প্রত্যের নাগরিকের নাম, বাবার নাম কিংবা স্বামীর নাম, ছবি থেকে জন্ম তারিখ এবং একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকে। দেশে আধার কার্ড ইস্যু করে থাকে আলাদ একটি সংস্থা। এর নাম ইউআইডিএআই।
আধার চিঠি
এই সংস্থা প্রত্যেক নাগরিকের বাড়িতে আধার চিঠি পাঠিয়ে থাকে। যার মধ্যে থাকে আধার কার্ড। এই কার্ডে ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে তথ্য রেকর্ড করা থাকে।
এম-আধার কার্ড
এই আধার কার্ড হল মোবাইল আধার কার্ড। যে কোনও ব্যক্তি গুগল প্লে স্টোর থেকে নির্দিষ্ট অ্যাপটি ডাউনলোড করে সুবিধা পেতে পারেন। আধার কার্ডে যে কোনও ধরনের সংশোধন হলে এম আধার কার্ডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা আপডেট হয়ে যায়। আবার
পিভিসি আধার কার্ড
এই আধার কার্ড হল ব্যাঙ্কের ডেবিট কিংবা ক্রেডিট কার্ডের মতো হয়। এটিতে একটি ডিজিটাল কিউ আর কোড থাকে। এই কার্ডের সুবিধা হল, তা বৃষ্টিতে ভিজলেও কোনও ক্ষতি হয় না।
ই-আধার কার্ড
এই আধার কার্ড হল আধার কার্ডের ইলেকট্রনিক সংস্করণ। এই কার্ডেও রয়েছে কিউআর কোড। যা স্ক্যান করলে পাওয়া যায় তথ্য। কার্ডটি পাসওয়ার্ড দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। আর এই কার্ডের ১২ টি সংখ্যার মধ্যে শুধুমাত্র শেষ চারটি সংখ্যার উল্লেখ থাকে।