করোনা মোকাবিলায় এখনো কঠোর বিধিনিষেধ অব্যাহত রেখেছে চীন। নেওয়া হয়েছে শূন্য করোনা নীতির কৌশল। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থনীতির গতি ব্যাপকভাবে কমেছে। ২০২০ সালের পর ভোক্তাদের চাহিদা ও শিল্প উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসেছে। সোমবার (১৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চীনের বেশ কিছু শহরে সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির খবর সামনে এসেছে। এমনকি দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাইকেও লকডাউন করা হয়েছে। এতে মার্চ থেকে সেখানের দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষ আটকা পড়েছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, লাখ লাখ মানুষ ঘরে আটকা পড়ায় আগের বছরের তুলনায় গত মাসে খুচরা বিক্রি ১১ দশমিক এক শতাংশ কমে গেছে, যা মার্চে তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ সংকোচনের চেয়ে অনেক বেশি।
লকডাউনের কারণে দেশটির কারখানাগুলো কার্যক্রম কমাতে বাধ্য হচ্ছে। এসময় শিল্প উৎপাদন কমেছে দুই দশমিক নয় শতাংশ।
দীর্ঘ ও কঠোর লকডাউনে প্রভাব পড়েছে চীনের চাকরির বাজারেও। দেশব্যাপী এপ্রিলে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে ছয় দশমিক এক শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর বেশি।
চলতি বছরে বেইজিং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ। এখন এটি বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে চলতি প্রান্তিকেও আঘাত আসতে পারে বলে আশঙ্কা কার হচ্ছে।