ভিয়েতনাম নামের নতুন একটি নারিকেলের চারা বের হয়েছে যেটি ভালোভাবে রোপন ও পরিচর্যা করলে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই অনেক নারিকেল দিবে। এই ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ বাংলাদেশের সবার প্রশংসা কুড়োচ্ছে। আপনিও জানলে অবাক হবেন যে নারিকেল গাছ এত
তাড়াতাড়ি এত নারিকেল দিতে পারে। ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ মাত্র দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এত বেশি ফলন হয় যে সবাই মুগ্ধ হতে বাধ্য। এই ভিডিওটিতে কিভাবে ভিয়েতনাম নারিকেল গাছ রোপণ করতে হবে step-by-step দেখানো হয়েছে। আপনিও চাইলে ভিডিওটি সাহায্য সুবিধার জন্য আমি এখানে গাছ রোপণের স্টেপগুলো লিখে দিচ্ছি। কিভাবে ভিয়েতনাম গাছের চারা রোপন করবেন তা নিচে step-by-step দেয়া হলো।
প্রথম স্টেপ গাছ কিনা: প্রথমে আপনাকে অবশ্যই বাজার থেকে একটি ভিয়েতনাম নারিকেল গাছের চারা কিনতে হবে এটি আপনি যে কোন গাছের দোকানে গেলেই পেয়ে যাবেন।
দ্বিতীয় স্টেপ গোবর সার তৈরি করা: তারপর যেখানে গাছ লাগাবেন সেখানে হালকা একটু গর্ত করে কিছু গোবর সার এবং অল্প কিছু মাটি হালকা ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় স্টেপ গাছটিতে দেয়া: তারপর গাছের চারাটি সেখানে গোবর সারএবং মাটির মধ্যে পুঁতে দিতে হবে তবে খেয়াল রাখবেন গাছের চারার নারকেল টি যেন একেবারে ঢেকে না যায় এবং মাটির সাথে যেন একদম লেগে থাকে এমনভাবে পুতে দিতে হবে। সবশেষে একটি কোদাল দিয়ে আশেপাশের মাটিগুলো গাছের পাশে দিয়ে দিতে হবে।
শুধু গাছ লাগিয়ে দিলেন এরপর এমনি এমনি ফল হবে এটি আশা করাও বোকামি। যেকোনো জিনিস থেকে ভালো ফলন পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে এটি পরিচর্যা করতে হবে। ফল কেমন হবে তা নির্ভর করবে আপনার পরিচর্যার ওপর। আপনি যদি খুব ভালো পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই অনেক ভালো ফল পাবেন। পরিচর্যা না করলে ফলের আশা করাটা বোকামী ছাড়া আর কিছুই না। গাছ লাগানো হয়ে গেলে এরপর আপনাকে নিয়মিত এখানে জল দিতে হবে। খুব বেশি জল দেয়া যাবে না যাতে গাছের গোড়ায় জল জমে সেখানে পচন ধরে যায়। আবার একেবারেই জল ছাড়া রাখা যাবে না এতে করে গাছ মরে যাবে। সুতরাং আপনাকে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ জল দিতে হবে। বৃষ্টির দিনে জল না দিলেও চলবে। গ্রীষ্মকালে জলএকটু বেশি দিতে পারবেন। মাঝে মাঝে গোবর সার কিনে গাছের চারপাশে দিয়ে দিতে হবে। পোকা যাতে না হয় এজন্য অন্যান্য ওষুধ ছিটিয়ে দিতে হবে। কথা নিয়মিত গাছটির দেখভাল করতে হবে। এভাবে করতে করতে আপনি নিজেই লক্ষ করবেন গাছটি কত তাড়াতাড়ি বড় হচ্ছে এবং নারিকেল হওয়া শুরু করছে।