চাঁদের মাটিতেই তৈরি হবে অক্সিজেন! এমনটাই দাবি গবেষকদের

চাঁদের মাটি ছোঁয়ার আকুতি কত না মহাকাশচারীর। কিন্তু বারবার সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অক্সিজেন। চিনা গবেষকরা সম্প্রতি যে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন, তাতে মানুষের সেই আর্তি এবার সফল হবে। চাঁদের মাটিতেই তৈরি হবে অক্সিজেন। চিনের গবেষকরা চাঁদের মাটিতে অক্সিজেন ও জ্বালানি তৈরির দাবি করেছেন। চিনের নানজিং ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক মনে করেন, চাঁদের মাটি অক্সিজেন তৈরি ও জ্বালানি বানানোর পক্ষে আদর্শ। আর চাঁদে গেলে অক্সিজেনের ভাঁড়ারে টান পড়ার ঝুঁকি থাকবে না। চাঁদের মাটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত উপনীত হয়েছেন চিনা গবেষকরা।

গবেষকদের দাবি, চাঁদের ওই পাথুরে মাটিতে থাকা সক্রিয় যৌগ থেকে খুব সহজেই কার্বন ডাই অক্সাইড, অক্সিজেন এবং জ্বালানি উৎপাদন করা সম্ভব। এমনকী চাঁদের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন ও মিথেন গ্যাসও রয়েছে।

আগামী কয়েক বছরের মধ্য চাঁদের একাধিক অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার। চিনও চাইছে আমেরিকার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাঁদে অভিযানে নামতে। চিনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা চিনকে এগিয়ে রাখবে চন্দ্রাভিযানে।

চাঁদে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনও পাওয়া যাবে সহজেই
চিনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইংফ্যাং ইয়াও এবং তাঁর সহযোগীরা চাঁদ থেকে নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা মাটি ইতিমধ্যে পরীক্ষা করেছে। তাঁদের দাবি, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনও পাওয়া যাবে সহজেই। আর বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে এই মাটিতে রয়েছে মিথেন গ্যাসও।

সালোকসংশ্লেষ ঘটাতেও সক্ষম চাঁদের মাটি
চিনের গবেষকরাদের আরও দাবি, এই মাটিতে প্রচুর পরিমাণে লোহা ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এই যৌগগুলি যথেষ্ট উন্নতমানের বলেও তাঁরা দাবি করেছেন। এমনকী সালোকসংশ্লেষ ঘটাতেও সক্ষম। পৃথিবীতে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছ অক্সিজেন ও জল উৎপাদন করে, চাঁদের মাটিই সেই প্রক্রিয়া সম্পাদক করতে পারে।

অক্সিজেন, জ্বালানি এবং জল- এই প্রয়োজনীয় তিনটি জিনিসের জোগান অফুরান হলে চাঁদে বসত গড়ে তুলতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু চাঁদের পাথুরে মাটিতে পৃথিবীর মতো শাক-সবজি ফলানো সম্ভব নয় বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy