গালিগালাজ করেই উপার্জন করেন রোদ্দুর রায়, টাকার পরিমান জানলে অবাক হবেন সকলে

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন অথচ রোদ্দুর রায়ের (Roddur Roy) নাম শোনেননি কিংবা ফেসবুকের ভিডিও স্ক্রল করতে করতে রোদ্দুর রায়ের ভিডিও চোখে পড়েনি এমন নেটিজেনের সংখ্যা হাতেগোনা। নোংরা, অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে তিনি হয়ে উঠেছেন বাঙালিদের একাংশের প্রতিবাদের মুখ। সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ তার ফ্যান কেউ বা তার সমালোচক। আর তিনি হলেন ‘মক্সিজম’ তত্ত্বের অনুসারী একজন ‘মোক্সা’!

সাধারণত রোদ্দুর রায়ের ভিডিওর বিষয়বস্তু হয়ে থাকেন গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে কাজী নজরুল ইসলাম, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি, কেউই সাধারণত বাদ যাননি, সকলের উদ্দেশ্যেই খিস্তির ফোয়ারা ছুটিয়েছেন তিনি। আর এভাবেই খুব কম সময়ের মধ্যে তিনি আবার জনপ্রিয়ও হয়েছেন!

সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে অশ্রাব্য খিস্তি দিয়ে পুলিশের জালে জড়িয়েছেন রোদ্দুর রায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠছে তার মুক্তির দাবি। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সামনে ইউটিউবার এবং রোদ্দুর রায়ের অগুন্তি ভক্তের জমায়েতের কথা রয়েছে। তাদের দাবি, রোদ্দুর রায়ের নিঃশর্ত মুক্তি! লেখক অর্ক দেবের মতে, রাষ্ট্রযন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্ত, মৌলবাদীদের চেয়ে রোদ্দুর রায়দের ‘খতরনাক’ বলে মনে করছে প্রশাসন। আইন আইনের পথে চলবে। তবে রোদ্দুর রায়ের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করা হবে।

এহেন রোদ্দুর রায়ের জনপ্রিয়তা শুধু বাংলার গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তিনি তার ভিডিওর মধ্যে প্রচুর ইংরেজি কথাও উল্লেখ করেন যাতে সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে তার বক্তব্য। রোদ্দুর রায়ের ভিডিও পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় স্তরেও। লক্ষ লক্ষ মানুষ তার খিস্তির ভিডিও দেখেন, শোনেন। আর এই ভাইরাল ভিডিও থেকে তিনি হাজার হাজার টাকা উপার্জন করেন।

সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুসারে, রোদ্দুর রায় তার একেকটি ভিডিও থেকে ১৩-২৫ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। ইউটিউব, ফেসবুকে অকথ্য ভাষা ও খিস্তির ফোয়ারা ছুটিয়েই লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন তিনি। একদিকে যেমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে, অন্যদিকে তেমন পকেটও বেশ ভরছে। কলেজ ক্যাম্পাসের পড়ুয়াদের কাছে তিনি তো আবার প্রতিবাদের মুখ, যুব সম্প্রদায়ের আইকনে পরিণত হচ্ছেন রোদ্দুর রায়!

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy