যুদ্ধ শুরুর পরই কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্যপণ্য রপ্তানি করতে পারছে না ইউক্রেন। এতে বিশ্বজুড়ে খাবারের দাম বেড়ে গেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমারা। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে আটকা পড়া পণ্য রপ্তানির বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে রাশিয়া। এর আগে মস্কোতে দেশ দুইটির মধ্যে আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আলোচনার ফলে এরই মধ্যে তুরস্কের একটি ড্রাই কার্গো জাহাজ নিরাপদে মারিউপোলের বন্দর ত্যাগ করেছে। এটাই একমাত্র বিদেশি জাহাজ যেটি যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম ইউক্রেনের বন্দর ছাড়লো। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়ার বাহিনী।
জানা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ গম রপ্তানিকারকদের মধ্যে ইউক্রেন অন্যতম। কিন্তু হামলার পর দেশটির রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। জাতিসংঘ উভয় পক্ষকে নিরাপদ রপ্তানি করিডোর তৈরির আহ্বান জানিয়েছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণ উপকূলে মারিউপোল অবস্থিত। এক মাস দীর্ঘ অবরোধের পর মে মাসে রুশ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এটি।
এদিকে শস্য ও সার রপ্তানি সহজতর করার জন্য কিছু পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় মস্কো। অন্যদিকে কিয়েভ জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনায় সম্মত হওয়ার জন্য বন্দরগুলোর জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টি চায়। ইউক্রেন আরও জানিয়েছে, তাদের অনুমোদন ছাড়া কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে না।