হৃদয় উজাড় করা সুরেলা কণ্ঠে তিনি বহু গান উপহার দিয়েছেন। সেসব গান শ্রোতাদের মনে জায়গা করে হয়েছে কালজয়ী। কিন্তু বলিউডের মূলধারার আলোতে তাকে সেভাবে দেখা যায়নি। তাকে নিয়ে খুব বেশি মাতামাতিও হয়নি।
আড়ালে থাকা কালজয়ী সেই গায়কের নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। যাকে সবাই কেকে নামেই চেনেন। নব্বই দশক থেকে শূন্য দশক অব্দি তিনি অসংখ্য সফল গান গেয়েছেন। সংগীতের সেই অবিস্মরণীয় অধ্যায়ের ইতি টেনে মঙ্গলবার (৩১ মে) রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কেকে।
আকস্মিক এই মৃত্যুতে স্তব্ধ গোটা বলিউড। তবে একজন তারকার কাছে কেকে’র চলে যাওয়া একটু বেশিই কষ্টের। তিনি ইমরান হাশমি। একটা সময় তো এমন ছিল, কেকে’র গান মানেই পর্দায় ইমরান হাশমি। এমনকি হাশমির সিনেমাতেই কেকে’র গাওয়া সর্বাধিক গান জনপ্রিয় হয়েছে। তাই কেকে’র মৃত্যু এই অভিনেতার কাছে অনেক বড় ধাক্কা।
ইমরান হাশমি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এমন আওয়াজ এবং প্রতিভা আর নেই! তার গাওয়া গানে কাজ করাটা সবসময় খুব স্পেশাল ছিল। তুমি সারাজীবন আমাদের হৃদয়ে থাকবে। এবং তোমার গানের মাধ্যমেই তুমি বেঁচে থাকবে।’
ইমরান হাশমি অভিনীত কেকে’র গাওয়া কয়েকটি জনপ্রিয় গান হলো- ‘যারা সা’, ‘দিল ইবাদত’, ‘তুঝে সোচতা হু’, ‘তুহি মেরি শব হ্যায়’, ‘তেরি ইয়াদো মে’ ইত্যাদি।
এদিকে অভিনেতা আর মাধবনের ক্যারিয়ারে প্রথম হিন্দি সিনেমায় রয়েছে কেকে’র গাওয়া গান ‘সাচ কেহরা হা হ্যায় দিওয়ানা’। এই গানের সুবাদে মাধবন নিজেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। তাই কেকে’র কণ্ঠকে নিজের কণ্ঠই মনে করতেন।
কেকে’র মৃত্যুর খবর শুনে অভিনেতা বললেন, ‘আমার কণ্ঠটা আজ হারিয়ে ফেললাম। ভাই চলে গেলো!’
কেকে’র মৃত্যু নিঃসন্দেহে বলিউডের সংগীত জগতে নক্ষত্রপতনের মতো। তাই গায়ক, গায়িকা ও সংগীত পরিচালকরা শোকে ভেঙে পড়েছেন। শ্রেয়া ঘোষাল, কুমার শানু, আরমান মালিক, বিশাল দাদলানি, শেখর রাভজিয়ানি, নীতি মোহন, শঙ্কর মহাদেব-সহ আরও অনেক সংগীত তারকা শোক প্রকাশ করেছেন।