
কেকের মৃত্যুর পর চূড়ান্ত পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলো সামনে। জানাগেছে জনপ্রিয় এই গায়কের হৃদযন্ত্র ঠিকভাবে কাজ না করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’।
চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী হার্ট পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে না পাড়ার কারণে ফুসফুস থেকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন শরীরে পৌঁছতে পারেনি। এছাড়া আঠোরোমাস ডিপোজিট বা ফ্যাট জমে ব্লকেজ পাওয়া গেছে তার বাঁদিকের করোনারী আর্টারির একাধিক অংশে।
প্রসঙ্গত, কলকাতায় নজরুল মঞ্চে কনসার্টে গাইতে গিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। কিন্তু ফিরেছেন কফিনবন্দি হয়ে। বৃহস্পতিবার শেষকৃত্য শেষে চিরবিদায় জানানো হয় তাকে।
বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কেকে’র মৃত্যুর কারণ কী, তা নিয়ে নানান আলোচনা চলছে।কলকাতার নজরুল মঞ্চের সেই কনসার্টের আয়োজকদের দিকেও আঙুল উঠছে। অনেকে বলছেন, তাদের অব্যবস্থাপনার কারণে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিলেন কেকে।
তবে কেকে’র ময়নাতদন্তে থাকা এক চিকিৎসক বিষয়টি খোলাসা করেছেন। তিনি জানান, হার্টের ব্লকেজের কারণে কেকে’র মৃত্যু হয়েছে। তার হৃদযন্ত্রের বাঁ-দিকের ধমনিতে ৭০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। নাচ-গান করতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় তার হার্টের ব্লকেজ বেড়ে যায়। এতে আচমকাই রক্ত চলাচল বন্ধ হওয়ায় কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। ফলে চিকিৎসা শুরুর আগেই নিভে যায় কেকে’র জীবন জীবনপ্রদীপ।
কলকাতায় কনসার্ট করতে আসার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন কেকে। তবে কনসার্টের জন্য অগ্রিম টাকা নিয়ে রেখেছিলেন। এ কারণে শেষ মুহূর্তে আর বাতিল করেননি। কেকে’র স্ত্রী জ্যোতিলক্ষ্মী কৃষ্ণা বলেছেন, মুম্বাই ছাড়ার আগে বারবার বলেছিল, শরীরটা ভালো নেই। আয়োজকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছি। তাই শেষ মুহূর্তে পারফর্ম না করে পারছি না। ওর (কেকে) হাতে ব্যথা ছিল। তখনো বুঝতে পারিনি, ওর শরীরে বড় রোগ বাসা বেঁধেছে।
নিজের অসুস্থতার কথা কলকাতার কনসার্ট আয়োজকদের জানাননি কেকে। এমনকি তার ম্যানেজার রীতেশ ভাটও জানতেন না।