যাঁরা নিয়মিত জিমে যেতে অভ্যস্ত তাঁদের জন্য বিয়ের আগে 14 মিনিটের ইন্টারভাল ট্রেনিং আদর্শ। ওয়ার্মআপ করার পর, 2 মিনিট স্কোয়াট করুন। 30 সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে 2 মিনিট স্পটজগিং করুন। আবার বিরতি নিয়ে 2 মিনিট পুশ আপস করুন। প্রত্যেকটা এক্সারসাইজ়ের ফাঁকেই 30 সেকেন্ড থেকে 1 মিনিট পর্যন্ত বিরতি আপনি নিতে পারেন। পুশআপসের পর 2 মিনিট জাম্পিং জ্যাক, ক্রাঞ্চেস এবং স্কিপিং করুন। সবশেষে 2 মিনিট প্লাঙ্ক করুন। হাতে যদি আরও সপ্তাহ দুয়েক থাকে তাহলে এই 14 মিনিটের রুটিন পর পর দু’বার রিপিট করুন এবং বিরতির সময় কমিয়ে আনুন। তবে আমরা যে এক্সারসাইজ়গুলো বলে দিলাম সেগুলো সামান্য রদবদলও করা যাব। আপনি একটা দুটো পালটে নিজের পছন্দসই কোনও ব্যায়ামও সেখানে রাখতে পারেন। প্রয়োজনে অবশ্যই নিজস্ব ট্রেনারের সঙ্গে একবার পরামর্শ করে নেবেন।
যাঁরা কোনওদিন জিমে যাননি বা কখনও কোনও এক্সারসাইজ় করেননি, তাঁরা বিয়ে ঠিক হয়েছে বলেই পড়িমরি করে জিমে দৌড়বেন না। অনেক বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে যে সাত দিনে ওজন কমিয়ে দেওয়া হবে, বা স্পট রিডাকশন হবে৷ এগুলো বিশ্বাস করবেন না, কারণ স্পট রিডাকশন ব্যাপারটাই খুব অবৈজ্ঞানিক। তার চেয়ে প্রতিদিন 40 মিনিট ঘরের মধ্যেই এমন কোনও পরিশ্রমের কাজ করুন যাতে বেশ ঘাম ঝরে৷ অনেক ফিটনেস এক্সপার্টই বলেন যে, বিয়ের মরশুম শুরু হলেই অনেক মহিলাই বলেন যে পিঠ এবং হাতের ফ্যাট কমিয়ে দিতে হবে। সেটা কিন্তু রাতারাতি সম্ভব হয় না। প্রপার ডায়েটের সঙ্গে সঠিক ব্যায়ামের রুটিনে পুরো শরীরেরই ফ্যাট রিডাকশান ঘটে। তবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। চটজলদি কোনও সমাধানই সম্ভব নয়।
যাঁরা জিম করেন না, তাঁরা শুধু সকাল সন্ধে 20 মিনিট হাঁটুন। খুব আস্তেও হাঁটবেন না, আবার দৌড়বেনও না। হাঁটার গতি থাকবে এর মাঝামাঝি। হাঁটতে হাঁটতে মাঝে মাঝে হাত দুটো উপরে তুলুন, দুই সাইডে এবং পিছনে স্ট্রেচ করুন। বিয়ের আগে হাতে যেটুকু সময় আছে সেইমতো হিসেব করে হাঁটার রুটিন ঠিক করে নিন। প্রথমদিন 20 মিনিট হাঁটলে দু’দিন পর থেকে 30 মিনিট হাঁটুন। এভাবে 10 মিনিট করে হাঁটার সময়সীমা বাড়িয়ে দিন।
বিয়ে ও রিসেপশনে কী ধরনের পোশাক পরছেন সেটাও এক্ষেত্রে বিচার্য বিষয়। যদি নিচের দিকে ছড়ানো ঘাগরা পরেন তাহলে আপনার পেট থেকে কোমর পর্যন্ত নির্মেদ থাকতে হবে। তার জন্য টুইস্টেড ক্রাঞ্চ এবং প্লাঙ্ক করুন। যদি লো কাটের চোলি বা ব্লাউজ় পরেন অর্থাৎ আপনার পিঠ যদি উন্মুক্ত থাকে তাহলে বেন্ট ওভার ডাম্বল রোজ় এবং ডাম্বেল হাতে নিয়েই শোল্ডার শ্রাগ করুন। পোশাক যদি স্ট্র্যাপলেস হয় তাহলে সবার চোখ থাকবে আপনার কলারবোনের দিকে। এক্ষেত্রে সিটেড ডাম্বল প্রেস এবং দাঁড়িয়ে ডাম্বল কার্লস করতে হবে। তবে যাই করুন না কেন, অবশ্যই পেশাদারের পরামর্শ নিন।