‘কাঁচা বাদাম’ গান গেয়ে বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে খ্যাত পেয়েছেন ভুবন বাদ্যকর। গ্রাম বাংলার সাধারণ বাদাম বিক্রেতাকে এখন সবাই চেনে এক ডাকে, ভুবন বাদ্যকর।
এখনও মাটির ঘরেই থাকছেন তিনি। যাপিত জীবনের এখনো সেই কষ্টেই আছেন। এখন তা যেনো বদলাতে শুরু করেছে। এসব কথাই তিনি বলছিলেন গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘দাদাগিরি’র মঞ্চে হাজির হয়ে।
সেই ভুবন বাদ্যকরের এখন দিন বদলেছে। দুবরাজপুরে যেখানে ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাড়ি পাশেই গড়ে উঠেছে ইটের পাকা বাড়ি। ভেতরে বসেছে নীল রঙের টাইলস। এখন রীতিমতো ‘রাজমহল’ এ থাকছেন তিনি।
সম্প্রতি সিটি সিনেমার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে ভুবন বাদ্যকরের সেই বাড়ির ছবি।
ভুবন বাদ্যকর জানান, মানুষের ভালোবাসায় এসবই সম্ভব হয়েছে। এমন বাড়ি বানাবেন তা কখনো স্বপ্নেও ভাবেননি। এক ইন্টিরিয়র ডিজাইনার নিজে থেকেই এগিয়ে এসেছেন একটি ঘরের ভেতর সুন্দর করে সাজানোর জন্য।
বাংলার অপর এক গুণী শিল্পী রতন কাহারের জনপ্রিয় গান ‘বড় লোকের বেটি’ বাদশার মাধ্যমে ফের উঠে আসে খবরের শিরোনামে রাতারাতি সুপারহিট হয়ে যায় রতন কাহারের লেখা সেই বিখ্যাত লাইন। বাদশা সেই সুপারহিট গানে রতন কাহারের নাম উল্লেখ করেননি বলে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। অবশেষে বাদশা রতন খারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করে জানান যে তিনি আসলে জানতেন না এই গানের মালিকানা কার ? বিষয়টা জানার পরেই তিনি রতন কাহারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করেন।
রতন কাহার সেই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন সেই টাকা সম্পূর্ণটাই ফিক্সড ডিপোস্ট করে রেখেছেন ব্যাংকে আর লোক শিল্পী হিসেবে সরকারি ভাতা পেয়ে তার মাসে মোট উপার্জন হয় মাত্র ৩ হাজার। তারমধ্যে লকডাউনের সময় থেকে বন্ধ হয়ে গেছে কাজ। তাই আর্থিক ভাবে অস্বছল অবস্থায় সংসার চালাচ্ছেন কয়েকশো লোকসংগীত লেখা গুণী শিল্পী রতন কাহার।