ক্রমবর্ধমান জ্বালানি খরচ এবং বৈশ্বিক উপাদানের ঘাটতির মতো একাধিক কারণের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে ভারতীয় এসি মার্কেট। ফলে দাম বাড়ছে হু হু করে। নির্মাতারা বলেছে যে গ্রাহকদের ন্যূনতম তিন থেকে চার শতাংশ বেশি টাকা দিয়ে এবার এসি কিনতে হবে। পরের মাসে এসি-তে দাম বাড়বে বলে জানা গিয়েছে।
চীনে-লকডাউন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ভারত ইলেকট্রনিক্স শিল্প কাঁচামালের ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে। “কম্পোনেন্টের ঘাটতি, দ্রব্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত, এবং বি টু বি এবং বি টু সি উভয় জায়গার জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ সমাধানের উচ্চ চাহিদা সহ জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ব্র্যান্ডগুলিকে দাম বাড়াতে বাধ্য করছে। ” এমনটাই বলেছেন গুরমিত সিং, চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনসন কন্ট্রোলস-হিটাচি এয়ার কন্ডিশনিং ইন্ডিয়া লিমিটেড।
তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, উপভোক্তাদের জুন মাসে এয়ার কন্ডিশনারের দাম তিন থেকে চার শতাংশ বৃদ্ধি পাবে সেটা ধরে নিয়ে চলতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ইলেকট্রনিক্স খাত ইতিমধ্যে প্রতি ত্রৈমাসিকে ২-৩ শতাংশ করে দাম বাড়িয়েছে। সুপার প্লাস্ট্রনিক্স প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও অবনীত সিং মারওয়াহের মতে চীনে লকডাউন, শিল্প জুড়ে চালান বিলম্বিত করেছে এবং ইলেকট্রনিক্স বাজারে সর্বাধিক আঘাত করেছে।
মারওয়াহ বলেছেন, “এই সবই ব্র্যান্ডগুলিকে সোর্সিং, উৎপাদন এবং সরবরাহকে সসস্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফলস্বরূপ, কাঁচামাল এবং পণ্যের দাম ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্র্যান্ড হিসাবে থমসন জুন এবং জুলাই মাসে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করবে।
দীর্ঘ গ্রীষ্ম এবং বর্ষা ঋতুর সাথে বিটুবি এবং বিটুসি উভয় অংশের জন্য এয়ার কন্ডিশনারগুলির চাহিদা বৃদ্ধির সাথে, এয়ার কন্ডিশনারগুলির চাহিদা প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত হবে বলে আশা করা যায় না, সিং বলেছেন।