এবার নেটফ্লিক্সে আলিয়ার ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’

জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে আলিয়া ভাট অভিনীত ও সঞ্জয় লীলা বানশালী পরিচালিত ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি’। ষাটের দশকের মুম্বাইয়ে গাঙ্গুবাঈয়ের উত্থানকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এ ছবি।

বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্যের পর এবার ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও হাজির হয়েছে গাঙ্গুবাঈ। দেখা যাচ্ছে নেটফ্লিক্সে।

সম্প্রতি ছবির নির্মাতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ‘বিহাইন্ড দ্যা সিন’ ভিডিও শেয়ার করেন। ওটিটিতে মুক্তি উদযাপনের জন্য বিভিন্ন গানের শ্যুটিংয়ের দৃশ্য সামনে আনা হয়।

ওটিটিতে দেখা যাচ্ছে আলিয়ার ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে সে খবর নিজেই দিলেন। গাঙ্গুবাঈকে চাঁদের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাই অভিনেত্রীর পোস্টেও চাঁদের ইমোজি দেখা গেল।

গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়াড়ি ছবির গল্প শুরু হয় ভারত স্বাধীনের কয়েক বছর পর। মুম্বাইকে তখন বম্বে বলা হত। সিনেমার চুম্বকে এখনকার মতই তখনও কত স্বপ্ন শুধুই বম্বেগামী।

কাথিয়াওয়াড়ের ব্যারিস্টারের মেয়ে গঙ্গা হরজীবনদাসও নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অভিনয় করবে দেবানন্দের সঙ্গে। গঙ্গার সেই স্বপ্নকে ইন্ধন দেয় তার প্রেমিক রমনিক লাল। সে গঙ্গাকে বোঝায়, স্বপ্ন সত্যি করতে হলে বম্বে যেতে হবে। বাড়িতে কাউকে না জানিয়েই যেতে হবে। কারণ, বাড়ির কেউ এই পরিকল্পনার কথা জানলে স্বপ্ন পূরণের আর কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না।

রমনিকের হাত ধরে গয়না, টাকা-পয়সা নিয়ে বাড়ি ছাড়ে গঙ্গা। ট্রেনে চেপে এসে পৌঁছায় মায়ানগরীতে। গন্তব্য রমনিকের মাসির বাড়ি। কিন্তু মাসির বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই মনটা কেমন করে ওঠে গঙ্গার। বাড়ির এ কেমন চেহারা? এরা কেমন নারী? রমনিক গঙ্গাকে বসিয়ে রেখে কোথায় গেল? গঙ্গা রমনিকের মাসির মুখোমুখি হয়। ছুটে যেতে চায় রমনিকের কাছে। কিন্তু কোথায় রমনিক? নিয়তি নিষ্ঠুর হাসি হাসে। রমনিক গঙ্গাকে হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নিষিদ্ধপল্লি কামাথিপুরায়। এরপর গঙ্গার মৃত্যু হয়, জন্ম নেয় গাঙ্গুবাঈ।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy