
একের পর এক প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠছে, আর প্রতি বারই তা ভেঙে যাচ্ছে। বার বারই ভালোবাসার ওপর আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। বারবারই হৃদয় ভাঙছে, চোখের জল পড়ছে। এমন পরিস্থিতি অনেকের জীবনেই আসে। কিন্তু কেউ বুঝতে পারেন না ঠিক কী কারণে বার বার সম্পর্ক ভেঙে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপরপক্ষকে দায়ী করা হয়। কিন্তু কেউই নিজের কোনো খামতি আছে কিনা তা ভেবে দেখে না।
সাধারণ ভাবে কোনো সমস্যাতেই মানুষ নিজের দোষ দেখতে পায় না। আর সেখানেই সমস্যা জিইয়ে থাকে। কিন্তু তা করলে হবে না। শুধু প্রেম নয়, যে কোনো সম্পর্ককে সুস্থ রাখতেই এই যুক্তি প্রযোজ্য। সে যা-ই হোক। এক বার ভেবে দেখা উচিত যে খারাপ লাগার মতো কোনো সমস্যা নিজের মধ্যে আছে কিনা?
খামখেয়ালি মন
অনেকের মধ্যেই খামখেয়ালি একটি ব্যাপার থাকে। কিন্তু একা থাকার পক্ষে সেটি চললেও কোনো সম্পর্কে বাঁধা পড়তে গেলে তা থাকলে চলে না। একটি নির্দিষ্ট মনোভাব দরকার পড়ে। তা না হলে ভালো লাগা, মন্দ লাগা, চাওয়া পাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলি অন্য জনের কাছে গুলিয়ে যায়, ফলে সম্পর্ক ঠিক দিশা পায় না। এক সময়ে ভেঙে যায়।
তিরিক্ষি মেজাজ
খিটখিটে মনোভাবও কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পথে বাধা হতে পারে। কখন কোনটা নিয়ে হঠাৎ খিটখিট করে ওঠে, এই ভেবে পাশের মানুষটিও স্বাভাবিক হতে পারে না। আড়ষ্ট হয়ে থাকে। দীর্ঘ দিন এই ভাবে চলতে চলতে এক সময় সম্পর্কভেঙে যায়।
একরোখা মনোভাব
যে কোনো বিষয় নিয়ে যদি জেদাজেদির পর্যায়ে প্রায়ই সম্পর্ককে ধাক্কা খেতে হয় এবং শেষ অবধি বারংবার এক জনের জেদের কাছেই অন্য জনকে বশ্যতা স্বীকার করতে হয়, তা হলে একটা সময়ের পর সম্পর্কে বিরক্তি আসাটা খুবই স্বাভাবিক। তার পরিণাম সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া।
অতিরিক্ত গোপনীয়তা
অনেকেই আছেন নিজের কথা মন খুলে বলেন না। কোনো কিছু হাজার বার জিজ্ঞাসা করেও তাঁর থেকে সদুত্তর পাওয়া যায় না। এমনকি সমস্ত বিষয় লুকিয়ে রাখেন। শুধু তা-ই নয়, যে বিশেষ বিষয়গুলিতে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা বা পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার পড়ে, সেগুলিও গোপন করে রাখেন। এমন ঘটনাও বার বার ঘটলে সম্পর্কে তিক্ততা আর দূরত্ব আসতে বাধ্য। তার ফল আর কিছুই নয়। সম্পর্কভেঙে যাওয়া।