উৎপাদন কমেছে এশিয়ায়, মন্দার ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ

চলতি বছরের জুনে এশিয়ার উৎপাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। মূলত চীনের করোনা সম্পর্কিত লকডাউনে সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ায় এ অবস্থা তৈরি হয়। এদিকে অর্থনৈতিক কার্যক্রম ধীর হওয়ায় ঝুঁকি বাড়ছে ইউরোপে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার সব লক্ষণ এরই মধ্যে সামনে এসেছে। শুক্রবার (১ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যদিও শুক্রবার পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, চীনের কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম জুনে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু সরবরাহ ঘাটতি-মূল্য বৃদ্ধির কারণে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার ও তাইওয়ানের উৎপাদন কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে।

জানা গেছে, জুনে চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম ১৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। কারণ বিধিনিষেধ উঠিয়ে দেওয়ার ফলে কারখানাগুলোতে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, চীনের পদক্ষেপের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে পারে। এতে অটোমেকার ও উৎপাদনকারীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

তবে কিছু বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সুদের হার বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে দেশে নীতি কঠোর করা হয়েছে। এতে বৈশ্বিক অর্থনীতি ও আর্থিক বাজারে চাপ বাড়ছে।

জাপানের দাই ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়োশিকি শিনকে বলেছেন, কিছু দুর্বলতার পর চীনের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশা করা যায়। তবে এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অর্থনীতিতে মন্দার ঝুঁকি রয়েছে।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy