ইলন মাস্ক টুইটারের বোর্ড সদস্য হওয়ায়, আতঙ্কিত কিছু কর্মী! জেনেনিন সেই কারণ

টুইটারের একটি বড় অঙ্কের শেয়ার কেনার পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির বোর্ড সদস্য হলেন টেসলারের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। আর এ খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন টুইটারের অনেক কর্মী। টুইটারের অভ্যন্তরীণ কয়েকজন কর্মী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ের মধ্যে রয়েছেন।

টুইটারের চারজন কর্মী (রয়টার্স যাদের নাম প্রকাশ করেনি) বলেছেন, ক্ষতিকারক ব্যবহারকারী ও কনটেন্ট নিয়ে টুইটারের যে নীতিমালা রয়েছে, সেখানে মাস্ক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। এ জন্য মাস্কের ক্ষমতা নিয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন। কর্মীরা বলেন, ‘মতামত প্রকাশবিষয়ক নীতিমালার ক্ষেত্রে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় টুইটার এখন যে পর্যায়ে এসেছে, সেখানে মাস্কের উদারপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি টুইটারের অবস্থানকে দুর্বল করে দিতে পারে। এতে টুইটারে ‘ট্রলিং’ বেড়ে যেতে পারে এবং ব্যবহারকারীরা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে।’

এদিকে টুইটারের নতুন বোর্ড সদস্য হওয়ার পর মাস্ক সেখানে কীভাবে ভূমিকা রাখতে চান, তা এখনো স্পষ্ট করেননি। তবে টুইটারের ৯ দশমিক ১ শতাংশ শেয়ার কেনার আগে তিনি তাঁর ৮ কোটি অনুসারীর উদ্দেশ্যে পোল করে জানতে চেয়েছিলেন, টুইটার বাক্‌স্বাধীনতার নীতি মেনে চলে কি না। সেই পোলে সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুসারী ‘না’ বলে ভোট দিয়েছেন।

ফেসবুক ও টুইটার থেকে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ইলন মাস্ক টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি প্রকৃতপক্ষে বাক্‌স্বাধীনতার বিচারক হিসেবে কাজ করে, তবে সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেছেন, ‘ইলন মাস্কের টুইটার ব্যবহারের ইতিহাস দেখুন। ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডের একটি গুহায় আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধারকারী নিয়ে তিনি কটূক্তি করেছিলেন এবং তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।’

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy