ইউক্রেন-রাশিয়ার হামলায় বহু বিদেশি জাহাজ আটকা পরে, সেই জাহাজগুলোকে ছাড়ার প্রতিশ্রুতি রাশিয়ার

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলোতে বহু বিদেশি জাহাজ আটকা পড়ে। এখন সে জাহাজগুলো নিরাপদে বন্দর ত্যাগ করতে পারবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এজন্য একটি নিরাপদ করিডোর চালু করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রুশ জেনারেল স্টাফের অধীনে জাতীয় প্রতিরক্ষা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান কর্নেল জেনারেল মিখাইল মিজিনসেভ বলেন, ১৬ দেশের ৭০টি জাহাজ ওডিশা, খেরসন ও মাইকোলাইভসহ কৃষ্ণসাগরের ছয়টি বন্দরে আটকা রয়েছে।

বুধবার রাশিয়ান সামরিক বাহিনী জানায়, তিন মাস লড়াইয়ের পরে মারিউপোল বন্দরের কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে।

এর আগে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকা পড়া বাংলাদেশের জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ রকেট হামলার শিকার হয়। বুধবার (২ মার্চ) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মৃত্যু হয়।

বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে ওলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে এটি। পরবর্তীতে ২ মার্চ রকেট হামলায় হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে অন্য ২৮ জনকে অক্ষত অবস্থায় জাহাজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এরপর হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে ৫ মার্চ দুপুরে ওলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার থেকে সরিয়ে রোমানিয়ায় নেওয়া হয়। ৯ মার্চ ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ফেরেন।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy