ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে চলমান বন্যায়-ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে। তাছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ হাজার মানুষ। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার (২০ জুন) দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দুইটিতে আরও বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
আসামের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নতুন এলাকা। রাজ্যটির ৩২ জেলার চার হাজার ২৯১টি গ্রাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় ঘটছে ভূমিধসের ঘটনা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছে, অবিরাম বৃষ্টিতে রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটির অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শহরে ব্রহ্মপুত্রের পানির প্রবাহ বন্ধ করতে প্রশাসন গুয়াহাটি শহরের লাইফলাইন ভরলুর সব সুইস গেট বন্ধ করে দিয়েছে।
তাছাড়া মেঘালয়ের পাঁচ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমি ধসের কারণে রাজ্যটির দুইটি জাতীয় সড়ক বন্ধ রয়েছে।
দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ত্রিপুরায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। তবে সেখানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগরতলায় গত ৬০ বছরের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবার। সেখানে বন্যার কারণে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
মেঘালয়ের মাওসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতেও ১৯৪০ সালের পর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বন্যায় নিহতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে টেলিফোন করে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন এবং কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।