আসাম-মেঘালয়ে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি, মারা গেলেন ১৬ জন

আসাম ও মেঘালয়ে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সেখানকার প্রধান নদ-নদীগুলোতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ওপর। এখন পর্যন্ত এ দুই রাজ্যে বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন। খবর এনডিটিভির।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের অন্তত ২৫টি জেলার ১১ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদীর পানি অনেক এলাকায় বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

সরকারি তথ্যমতে, রাজ্যগুলোর অন্তত ১ হাজার ৫১০টি গ্রাম এখন পানির নিচে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোর প্রশাসন এরই মধ্যে দুর্যোগ সতর্কতা জারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন বা চিকিৎসার দরকার না হলে লোকজনকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

টানা তৃতীয় দিনের মতো জলাবদ্ধতার কারণে আসামের রাজধানী গুয়াহাটির বেশিরভাগ অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। শহরটির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে।

বক্সা জেলায় অবিরাম বর্ষণ এবং দিহিং নদীতে পানিবৃদ্ধির কারণে গত বুধবার সুবানখাটা এলাকার একটি সেতু ধসে পড়েছে। রাজ্যের রাঙ্গিয়া বিভাগের নলবাড়ি ও ঘোগরাপারের মধ্যে জলাবদ্ধতার কারণে কমপক্ষে ছয়টি ট্রেন বাতিল ও চারটি আংশিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।

আসামের পাশাপাশি মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশেও অতিভারী বর্ষণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ভূমিধস, বজ্রপাত ও আকস্মিক বন্যায় মেঘালয়ে কমপক্ষে ১৩ জন এবং আসামে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

মেঘালয়ের চারটি অঞ্চল দেখাশোনার জন্য চারটি কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন একজন করে মন্ত্রী।

কিছু অংশ ধসে যাওয়ায় ছয় নম্বর জাতীয় মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মহাসড়কটি ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ের কিছু অংশের প্রাণ বলা যায়।

গত বুধবার পর্যন্ত আসাম এবং মেঘালয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৭২ মিলিমিটার অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সপ্তাহ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য দুটিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy