আপনার পছন্দের মানুষের সঙ্গে প্রেম করছেন। সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অথচ, আপনি তাকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পাবেন কি না এ নিয়ে মনের মাঝে সবসময় শঙ্কা-সংশয় দেখা দিচ্ছে। পরিবার কিংবা পারিপার্শ্বিক দিক থেকে আপনি সব সময় চিন্তিত থাকেন। কীভাবে কি হবে? যদিও মানুষ প্রেমের পরিণতি কি হবে সেটা ভেবে প্রেমে পড়ে না। মানুষের ভালোবাসার মহিমায়ই মত্ত হয়েই মানুষ একে অপরের প্রেমে পড়ে। অনেক সময় এই প্রেম মিলনের পথে বাঁধা পায়। এজন্য অনেক সময় সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে।
কথিত আছে,জন্ম, মৃত্যু,বিয়ে…এই তিনটি বিষয়ের উপর মানুষের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এসব পূর্ব নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে মানুষ কেন ভালোবাসে,কেনই বা প্রেমে পড়ে? যাকে ভালবাসেন, যার সঙ্গে আপনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, বিয়ে কি তার সঙ্গেই হবে? জ্যোতিষশাস্ত্রে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে।
আপনার জন্ম সময় অনুযায়ী জেনে নিন, আপনার বিবাহের সম্পর্কে ঠিক কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র।
১) মঙ্গল যদি পঞ্চম-ভাব বা তার অধিপতির সঙ্গে সম্বন্ধিত হয় তাহলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।
২) যখন শুক্র, শনি অথবা রাহু দ্বারা দৃষ্ট থাকে বা শুক্র শনি অথবা রাহুর সঙ্গে যুক্ত থাকে তখন প্রেম বিবাহের যোগ তৈরি হয়।
৩) যদি চন্দ্রের লগ্ন ভাবের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে অথবা লগ্নপতির সপ্তম ভাব অথবা সপ্তম ভাবের স্থিত গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধ হয়,তাহলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।
৪) পঞ্চম- ভাব এবং সপ্তম-ভাবের অধিপতিদের পরিবর্তন যোগ, পঞ্চম-পতি এবং সপ্তম-পতির যুক্তি তথা পঞ্চম-পতি আর সপ্তম-পতির মধ্যে দৃষ্টির সম্বন্ধ থাকলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি হয়।
৫) জন্মকুণ্ডলীতে মঙ্গল যদি সপ্তম ভাবে থাকে তাহলে জাতক-জাতিকার প্রেম বিবাহ হয়।
৬) পঞ্চম-ভাবের অধিপতির সপ্তম-ভাবের সঙ্গে অথবা সপ্তম-ভাবে স্থিত গ্রহের সঙ্গে সম্বন্ধ থাকে তাহলে জাতক-জাতিকার প্রেম বিবাহ হয়।
৭) শুক্র এবং বৃহস্পতির সম্বন্ধিত যোগ জাতকের আধ্যাত্মিক প্রেম যোগ তৈরি করে।
৮) শুক্র আর চন্দ্রের যোগ জাতকের প্রেমের মধ্যে রসিকতা, আকর্ষণ, একাত্মতা তৈরি হয়। এই যোগে অনেকের বিবাহ বহির্ভূত সম্বন্ধ হতে দেখা যায়।
৯) জন্মকুণ্ডলীতে পঞ্চম-ভাব, সপ্তম-ভাব তথা একাদশ-ভাবের অধিপতিদের মধ্যে পরস্পর সম্বন্ধ থাকলে প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি করে।
১০) পঞ্চম-ভাবে শুক্র আর চন্দ্রের যোগ,পঞ্চম-পতির শুক্র আর চন্দ্রের সঙ্গে সম্বন্ধ প্রেম বিবাহ যোগ তৈরি করে।