‘অশ্লীল’ গায়ক রোদ্দুর রায়কে দেখতে আদালতে উপচেপড়া ভিড়, সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ

‘কে এই রোদ্দুর রায়’- এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে কলকাতার ব্যাংকশাল কোর্টে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) এই আদালতেই তোলা হয় ‘স্বঘোষিত কবি’ ও ইউটিউবার রোদ্দুর রায়কে। এদিন আদালত চত্বরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রোদ্দুরের পক্ষ-বিপক্ষ উভয় দলের লোক হাজির হয়েছিলেন সেখানে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সম্মানহানির অভিযোগে রোদ্দুর রায়ের শাস্তির দাবি জানাতে ব্যাংকশাল কোর্টে উপস্থিত হয়েছিলেন কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। তবে ভিড়ের বড় অংশই ছিল এই ইউটিউবারের ভক্তদের। আদালতে প্রবেশের আগে তাদের উদ্দেশ্যে হাতও নাড়েন রোদ্দুর রায়।

বিতর্কিত এ ইউটিউবারের এক ভক্ত বলেন, এ ঘটনায় রাষ্ট্র তার ক্ষমতা দেখাতে চাচ্ছে। অভিযোগ আনা হয়েছে, রোদ্দুর রায় নাকি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। আমরা হয়তো সেই মন্তব্যের সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু এভাবে গ্রেফতার করা কি ঠিক?

ওই ভক্তের কথায়, রোদ্দুর একটা ভাষা। তিনি প্রতিবাদ করতে জানেন, প্রতিবাদ করেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন। তবে এটা ঠিক, তার প্রতিবাদের ভাষার মধ্যে অনেক সমস্যা রয়েছে। সেটি নিয়ে চর্চা করা যেতে পারে। কিন্তু, এভাবে গ্রেফতার করা ঠিক নয়।

সম্প্রতি মমতা ব্যানার্জী সাহিত্যে বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার পর তাকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন রোদ্দুর রায়। সেই সময় তার নামে থানায় মামলা করেন তৃণমূল সমর্থকরা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই কিছুদিন আগে ফের ফেসবুক লাইভে মমতাকে গালিগালাজ করেন রোদ্দুর রায়। এরপরই গত ৩ জুন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত চিৎপুর থানায় অভিযোগ করেন।

এর আগে গত ১২ মে নিজেদের তৃণমূলের কর্মী দাবি করে রোদ্দুর রায়ের নামে থানায় অভিযোগ করেছিলেন দুই ব্যক্তি। রোদ্দুর রায়ের নামে পাটুলি থানা ও লালবাজার সাইবার সেলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অরিত্র সাহা, সাইবার সেলে অভিযোগ করেন বিজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনেরই দাবি, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সম্মানহানি করা হয়েছে। এই অপরাধে রোদ্দুরের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির দাবি জানান তারা।

জামিন অযোগ্য ধারায় একাধিকবার এফআইআর দায়েরের পর অবশেষে গত ৭ জুন গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় রোদ্দুর রায়কে।

সূত্র: এই সময়, হিন্দুস্তান টাইমস

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy