![](https://techinformetix.in/wp-content/uploads/2022/05/10-2.jpg)
আবহাওয়া দফতর থেকে আগেই বলা হয়েছিল যে, যারা সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন তারা যেন দ্রুত ফিরে আসেন। ৯ মে তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছিল। কারণ সমুদ্রে পাক খাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। কিন্তু কে কার কথা শোনে। ৫০এর বেশি জেলে গিয়েছিল গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে। সেখানে ঘটলো বিপত্তি। কোনও মতে বেঁচেছে একসঙ্গে ৬০ জনের প্রাণ।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওড়িশা উপকূলে নৌকা ডুবে যায়। পরে ৬০ জনের মতো জেলে কোনও ভাবে রক্ষা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সানার্যপল্লী, বড় আর্যপল্লী এবং গোলাবান্ধা এলাকার জেলেরা তাদের ছয়টি মাছ ধরার জাহাজে করে উপকূলে ফিরছিলেন। হঠাৎ সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার গঞ্জামের ছত্রপুরের কাছে আর্যপল্লীতে রুক্ষ সাগরে ছয়টি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর ৬০ জন জেলে কোনো অবস্থায় বেঁচে আসেন। কারণ নৌকা তীরের কাছাকাছি ডুবে যাওয়ায় সমস্ত জেলেরা সাঁতরে উপকূলে চলে আসতে সক্ষম হয়। তারা তাদের জাল হারিয়েছে এবং একটি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকজন জেলে সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানাগিয়েছে।
আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এদিনই এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেবে এবং তা উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশার উপকূল বরাবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় ১০ থেকে ১২ মের মধ্যে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের বলা হয়েছে এদিন থেকে আপাতত সমুদ্রে না যেতে। এবং এর পাশাপাশি ১০-১৩ মে-র মধ্যে সমুদ্র উপকূলে কোনও রকমের কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।