অর্থ পাচারে উৎসাহ, ‘দুবাই’এর ওপর জারি হতে পারে নিষেধাজ্ঞা!

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দুবাইয়ে চলছে কালো টাকার ছড়াছড়ি। বিশ্বে বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে অবৈধ টাকা প্রবেশ করছে। অভিযোগ উঠেছে কালো টাকার মালিকদের আশ্রয় দেওয়ার। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে দেশটিতে বিনিয়োগ বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদেশগুলো থেকে আমিরাতকে কালো তালিকায় রাখার দাবি উঠেছে। খবর বিজনেস ইনসাইডারের।

রাজনীতিবিদ ও অধিকারকর্মীদের মধ্যে দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জোরালো হয়েছে। কারণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রাশিয়ার ধনীদের পর্যবেক্ষণে দেশটি ব্যর্থ হয়েছে। ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমারা। এরপরই রাশিয়ার ধনীরা দুবাইতে বিনিয়োগের পাশাপাশি সম্পত্তি কেনা শুরু করে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক বিল ব্রাউডার বলেছেন, দুবাই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থের জন্য একটি নিরাপদ স্থান। তাই দুবাইয়ের ওপর এখনই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন ও এর নেতাদের যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা উচিত।

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে বহু রাজনীতিবিদ ও কর্মী নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছেন। এ তালিকায় এবার বিল ব্রাউডারও নাম লিখেয়েছেন। গত মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি দল ইউরোপীয় কমিশনার মাইরেড ম্যাকগিনেসের কাছে একটি খোলা চিঠিতে দিয়েছেন। এতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে কালো তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

ওই খোলা চিঠিতে সই করা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য কিরা পিটার-হ্যানসেন গত ১১ মে এক টুইটে বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থ পাচারের তালিকায় আসতে দুবাইয়ের আর কত কেলেঙ্কারি লাগবে?

পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রুশ ধনীরা ব্যক্তিগত জেট ও ইয়ট দুবাইয়ের মতো জায়গায় সরিয়ে নিয়েছেন। বলা হচ্ছে রাশিয়ার অলিগার্কদের জন্য দুবাই হচ্ছে স্বর্গ। এমন খবর সামনে আসর পরই ওই চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, এটা স্পষ্ট যে সংযুক্ত আরব আমিরাত বড় মাত্রায় অর্থ পাচারকে উৎসাহিত করে। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর, যা মেনে নেওয়া যায় না।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy