
বেশিরভাগ বেসরকারি সংস্থা এখন অফিস থেকে কাজের পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থায় মহামারী পরবর্তী সময়ে নিয়োগও বৃদ্ধি পেয়েছে। বহুজাতিক সংস্থাগুলি ভারতে তাদের ইউনিট সংখ্যা বাড়ানোরও পরিকল্পনা করছে। দেশে প্রায় ২ লক্ষ কর্মী নিয়োগে প্রস্তুতি নিচ্ছে বহুজাতিক সংস্থাগুলি।
নাম রয়েছে যেসব সংস্থার
নিয়োগের ব্যাপারে যেসব সংস্থাগুলির নাম প্রকাশিত হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে অ্যামেক্স, ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা, ওয়েলস ফার্গো, সিটি, বার্কেলেস, মরহান স্ট্যানলে, এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড, গোল্ডম্যান স্যাকস, আমাজন, ওয়ালমার্ট, জিএসকে, অ্যাবট, ফাইডার, জে অ্যান্ড জে, নোভার্টিস, অ্যাস্ট্রাজেনিকার মতো সংস্থা।
ডিজিটাল ও প্রযুক্তির চাহিদা বেড়েছে
বিভিন্ন সংস্থার কর্তারা বলেছেন, মহামারী পরবর্তী সময়ে তাদের কাজের চাহিগা বৃদ্ধির ফলে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহামারী পরবর্তী সময়ে বিশ্ব যতবেশি ডিডিটাল হয়েছে, প্রযুক্তির চাহিদা বেড়েছে, ঠিক তেমনই প্রতিভার চাহিদাও বেড়েছে। ক্লাউড, সাইবার নিরাপত্তা, ভার্চুয়ালাইজেশন, ডেটা বিশ্লেষণ এবং এন্টারপ্রাইজ পতিশীলতার চাহিদাও বেড়েছে।
দেশে বাড়ছে জিসিসি
বর্তমানে দেশে ব্যাঙ্কিং, আর্থিক পরিষেবা, বিমা, আইটি, সফটঅআয়্যার, ফার্মাসিউটিক্যালস, তেল নিয়ে ভারতে প্রায় ১৫০০ জিসিসি রয়েছে। এইসব কোম্পানিগুলি ২০২১-২২ সালে প্রায় একলক্ষ সত্তর হাজারের মতো চাকরি দিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ৫০০ টির বেশি নতুন জিসিসি হতে চলেছে। ফলে দেশে কাজের বাজার আরও উন্মুক্ত হতে চলেছে।
বাজার হিসেবে ভারত আকর্ষণীয়
বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থার কাছে ভারতের বাজার আকর্ষণীয়। এখানে মেধার গুণমানের পাশাপাশি প্রচুর সংখ্যায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কাজের লোকও পাওয়া যায়। সংস্থার কর্তারা বলছেন, ভারতের কেন্দ্রগুলি তাদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কৌশলগত ভূমিকা নেবে। এছাড়াও বহুজাতিক সংস্থাগুলি এখানকার প্রতিভা, প্রকৌশলের প্রশংসা করেছে। ডয়েচে ইন্ডিয়া এবছরে তাদের প্রযুক্তি ও অপারেশনে ভারতে ৩ হাজার জনকে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।