G-mail-অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন, জেনেনিন বিশেষ কিছু টিপস

বর্তমানে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হল ই-মেইল। জি-মেইল অ্যাকাউন্টে থাকে ব্যাঙ্কিং তথ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার লগইন, অফিসের সংবেদনশীল ডকুমেন্টসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ডেটা। সম্প্রতি অনেক ব্যবহারকারীর জি-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি সুরক্ষিত রাখতে আগে থেকেই কয়েকটি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞদের দেওয়া আটটি অব্যর্থ কৌশল যা আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্টকে রাখবে হ্যাকারদের নাগালের বাইরে:

🔐 সুরক্ষার মূল ভিত্তি:

 

  • ১. শক্তিশালী এবং অনন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: আপনার পাসওয়ার্ড যেন কোনোভাবেই সহজ অনুমানযোগ্য না হয়। বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং স্পেশাল ক্যারেক্টার মিশিয়ে অন্তত ১২-১৪ অক্ষরের একটি জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। মনে রাখবেন, একই পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা একেবারেই উচিত নয়

  • ২. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু করুন: পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এটি অত্যন্ত জরুরি। জি-মেইলে লগইন করার সময় ফোনে আসা ওটিপি বা অথেন্টিকেটর অ্যাপের কোড ব্যবহার করে লগইন নিশ্চিত করুন। এটি হ্যাকারদের জন্য আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা অসম্ভব করে তোলে।

  • ৩. নিরাপদ রিকভারি অপশন ঠিক করুন: আপনার ‘রিকভারি ইমেইল’ এবং ফোন নম্বর সব সময় আপডেটেড ও সুরক্ষিত রাখুন। যদি কখনও পাসওয়ার্ড ভুলে যান বা আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়, তবে এই রিকভারি তথ্যের মাধ্যমেই আপনি সহজেই তা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।

⚠️ দৈনিক সতর্কবার্তা:

 

  • ৪. সন্দেহজনক লিঙ্ক এবং এটাচমেন্ট এড়িয়ে চলুন: অজানা বা সন্দেহজনক ইমেইল থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করা বা এটাচমেন্ট ডাউনলোড করা থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকুন। ‘ফিশিং অ্যাটাক’-এর মাধ্যমে হ্যাকাররা এভাবেই আপনার লগইন তথ্য চুরি করে নেয়।

  • ৫. পাবলিক বা শেয়ার করা কম্পিউটার এড়িয়ে চলুন: পাবলিক কম্পিউটার বা অজানা ওয়াইফাই সংযোগ (Public Wi-Fi) ব্যবহার করে জি-মেইলে লগইন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। একান্ত প্রয়োজন হলে, লগইন করার পর অবশ্যই লগআউট করতে ভুলবেন না।

🔄 নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ:

 

  • ৬. নিয়মিত সিকিউরিটি চেকআপ করুন: জি-মেইলের ‘সিকিউরিটি চেকআপ’ ফিচার ব্যবহার করে নিয়মিত আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন। আপনার লগইন অ্যাক্টিভিটি, অনুমোদিত ডিভাইস, এবং তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের অ্যাক্সেস (Third-Party App Access) চেক করুন।

  • ৭. ব্রাউজার এবং ডিভাইস আপডেট রাখুন: আপনার ব্যবহৃত ব্রাউজার বা ডিভাইসের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট না থাকলে নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে যায়। সবসময় লেটেস্ট ভার্সন ব্যবহার করুন, যাতে নতুন ধরনের হ্যাকিং থ্রেট থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।

  • ৮. সন্দেহজনক অ্যাক্টিভিটি মনিটর করুন: আপনার অ্যাকাউন্টে কোনো অচেনা লগইন, অজানা ডিভাইস থেকে অ্যাক্সেস বা অননুমোদিত সেটিং পরিবর্তন হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করুন। এমন কিছু দেখলে আর দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।

এই ৮টি পদক্ষেপ মেনে চললে আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্ট অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবে।