“জব্দ হবে, স্তব্ধ হবে…”- ২১ শের মঞ্চে নতুন স্লোগান ‘দিদি’র, হাততালি তৃণমূল সমর্থকদের

তৃণমূল কংগ্রেসের যেকোনো বড় সমাবেশই নতুন স্লোগানের জন্ম দেয়, এবং এই বছরের ২১শে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ মঞ্চও তার ব্যতিক্রম হলো না। সোমবার ধর্মতলার এই ঐতিহাসিক মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের উদ্দেশে দুটি নতুন স্লোগান ছুড়ে দিলেন – ‘জব্দ হবে, স্তব্ধ হবে’ এবং ‘আমাদের দর্শন, তোমাদের বিসর্জন’।
স্লোগান শুধু কিছু শব্দের সমষ্টি নয়, এটি একটি দলের দিশা ও কর্মীদের প্রেরণা। এই স্লোগানগুলোই দলের নেতা-নেত্রীদের পক্ষ থেকে কর্মী-সমর্থকদের কাছে পৌঁছে যায় এবং বছরভর বিভিন্ন মঞ্চে বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ করার হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
স্মরণ করা যেতে পারে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের জনপ্রিয় স্লোগান ছিল ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শোনা গিয়েছিল ‘জনগণের গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন’ – যা নিয়ে রীতিমতো গানও তৈরি হয়েছিল। তবে এসবকে ছাপিয়ে গিয়েছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্থাপিত সেই iconic স্লোগান ‘খেলা হবে’, যার রেশ আজও কাটেনি।
আসন্ন ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, এই ২১শে জুলাইয়ের শহিদ তর্পণ মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বিরোধীদের ‘জব্দ’ করার কথাই বলেননি, একই সঙ্গে ‘আমাদের দর্শন, তোমাদের বিসর্জন’-এর মাধ্যমে দলের নিজস্ব আদর্শ ও বিরোধীদের রাজনৈতিক বিলুপ্তি ঘটানোর অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেছেন।
শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেও ছিল চমক। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে অভিষেক নতুন করে ডাক দিলেন, “২০২১ এর আগে বলেছিলাম খেলা হবে, এ বার বলছি, পদ্মফুল উপড়ে ফেলা হবে।” অভিষেকের এই আহ্বানে দর্শকাসন থেকে প্রবল হাততালির ঝড় ওঠে। সভাশেষে অনেক কর্মীকেই এই নতুন স্লোগানগুলি দিতে দিতে সভাস্থল ত্যাগ করতে দেখা গেছে, যা প্রমাণ করে স্লোগানগুলো ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই নতুন স্লোগানগুলো আগামী দিনে রাজ্যের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী প্রভাব ফেলে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।