নিজের মনের মতো করে থিম পার্ক তৈরি করাকে ঘিরে ডিজাইন করা হয়েছে ‘প্ল্যানেট কোস্টার ২’। সিরিজের প্রথম গেমটি তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নির্মাতা ফ্রন্টিয়ার ডেভেলপমেন্টস দ্রুতই সিক্যুয়াল তৈরিতে নজর দিয়েছিল। প্রথম গেমটি একসময়ের ভক্তদের প্রিয় গেম রোলার কোস্টার টাইকুনের আদলে বানানো হয়েছিল। প্রায় সব ফোকাস ছিল শুধু রোলার কোস্টার আর অন্যান্য রাইড ডিজাইন করার দিকেই।
এবারের গেমে থিম পার্কের বাকি সব অংশ ঠিকঠাক চালানোর ওপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে যোগ দিয়েছে ওয়াটার পার্ক তৈরির ফিচারও।
ওয়াটার স্লাইড, র্যাফট রাইড, স্পাইরাল ড্রপ—অনেক ধরনের ওয়াটার পার্ক রাইড ডিজাইনের অপশন রাখা হয়েছে। রাইড তৈরির জন্য বিভিন্ন পার্টস পাওয়া যাবে মেন্যুর মধ্যেই।
সেগুলো ইচ্ছামতো জুড়ে একেবারে আনকোরা নতুন ডিজাইনের সব রাইড তৈরি করা যাবে সহজে। খেয়াল রাখতে হবে, রাইডে যারা চড়বে তাদের নিরাপত্তা যাতে থাকে নিশ্চিত। তবে যারা এ ধরনের গেমের ভক্ত তারা ইচ্ছা করেই বিপজ্জনক রাইড ডিজাইন করে থাকে অনেক সময়। ওয়াটার পার্ক ছাড়াও থিম পার্কের অন্যান্য রাইড যেমন—রোলার কোস্টার বা টি কাপসও তৈরির অপশন গেমটিতে দেওয়া হয়েছে।
রাইড ডিজাইন করলেই চলবে না, পার্ক চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বাকি সব সেবাও ডিজাইন ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। টিকিট বুথ থেকে দর্শনার্থীদের খাবারের বুথ ও বিশ্রামের জায়গা—সব কিছুই বাজেটের মধ্যে থেকে করতে হবে ডিজাইন। সময়মতো পার্ক চালু করা এবং বন্ধ করাও গেমারের দায়িত্ব। কিছু সময় খুঁটিনাটি জিনিস নিয়ে কাজ করতে করতে হাঁপিয়েও উঠতে পারে গেমাররা। বিশেষ করে মেন্যুর ডিজাইনকে বিভ্রান্তিকর বলেছে অনেকেই।
গেমের মধ্যে খুব বেশি টিউটরিয়ালও দেওয়া হয়নি, যাতে মেন্যুর কোথায় কী আছে তা সহজেই শেখা যায়। মূলত গেমটি খেলতে খেলতেই বুঝে নিতে হবে কিভাবে সব করতে হবে।
ফ্রি প্লে ছাড়াও ক্যাম্পেইন মোড দেওয়া হয়েছে গেমে। মূলত যারা সিরিজের নতুন তাদের রাইড ডিজাইন শেখানো এবং বিভিন্ন রকম সিনারিওতে সমস্যা সমাধানের ধাঁধা দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্যাম্পেইন। যদিও পুরনো ভক্তদের কাছে ক্যাম্পেইনটি তেমন ভালো লাগবে না।
বয়স
গেমটি শুধু কিশোরদের জন্য।
খেলতে যা যা লাগবে
অন্তত কোর আই৫ ৬৬০০কে বা রাইজেন ৫ ২৬০০ প্রসেসর, ১৬ গিগাবাইট র্যাম, জিটিএক্স ১০৬০ বা আরএক্স ৫৬০০এক্সটি জিপিউ এবং ২৫ গিগাবাইট জায়গা।