News

Ola-Uber-এর ভাড়া হতে পারে দ্বিগুণ, বাইক ট্যাক্সি নিয়েও বড় নির্দেশ সরকারের

দেশের জনপ্রিয় রাইড-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ওলা, উবার, ইনড্রাইভ-সহ অন্যান্য ক্যাব পরিষেবার ভাড়া এবার ব্যস্ত সময়ে আরও বাড়তে চলেছে। কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে ক্যাব অ্যাগ্রিগেটররা পিক আওয়ার বা ব্যস্ত সময়ে মূল ভাড়ার দ্বিগুণ পর্যন্ত চার্জ নিতে পারবে। এই ঘোষণার ফলে নিত্যযাত্রীদের পকেটে যে টান পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

এতদিন পর্যন্ত ‘সার্জ প্রাইসিং’ বা ব্যস্ত সময়ের অতিরিক্ত ভাড়ার সর্বোচ্চ সীমা ছিল মূল ভাড়ার দেড় গুণ। কিন্তু ১লা জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নতুন ‘মোটর ভেহিকল অ্যাগ্রিগেটর গাইডলাইনস’-এ এই সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। কেন্দ্র রাজ্য সরকারগুলিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই আপডেট করা নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে।

বাইক ট্যাক্সি ফিরছে, নতুন নিয়মে:

শুধুমাত্র ক্যাব ভাড়া বৃদ্ধিই নয়, এই নির্দেশিকায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হয়েছে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবার ক্ষেত্রে। এতদিন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সাদা নম্বর প্লেটের মোটরসাইকেল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার নিয়ে নানা আইনি জটিলতা ছিল, যার ফলে কর্ণাটকের মতো বেশ কিছু রাজ্যে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন নির্দেশিকার ফলে রাজ্যগুলি এখন থেকে অ্যাগ্রিগেটরদের মাধ্যমে নন-ট্রান্সপোর্ট ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবে।

এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য:

কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপের বেশ কিছু উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেছে:

যানজট কমানো: বাইক ট্যাক্সির প্রচলন বাড়লে শহরের যানজট কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যানবাহন দূষণ হ্রাস: কম দূরত্বের যাত্রায় বাইকের ব্যবহার বাড়লে গাড়ির উপর নির্ভরতা কমবে, যা দূষণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

কম খরচে যাতায়াত: বাইক ট্যাক্সি তুলনামূলকভাবে কম খরচে যাতায়াতের একটি বিকল্প হবে।

হাইপারলোকাল ডেলিভারি উন্নত করা: স্বল্প দূরত্বের পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রেও বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাজ্যগুলির ভূমিকা ও বাইক ট্যাক্সি অপারেটরদের প্রতিক্রিয়া:

নির্দেশিকার ধারা ২৩ অনুযায়ী, রাজ্যগুলি এই ধরনের মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য অ্যাগ্রিগেটরদের কাছ থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক বা ১৫ দিন অন্তর ফি আদায় করতে পারবে।

র‍্যাপিডো এবং উবারের মতো বাইক ট্যাক্সি অপারেটররা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে। কর্ণাটকে পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পর তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সরকারের এই নতুন নির্দেশিকাকে র‍্যাপিডো ‘বিকশিত ভারতের দিকে ভারতের যাত্রায় একটি মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং এটি কম খরচে যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি আনবে বলে দাবি করেছে। উবারও সরকারের এই নির্দেশিকার প্রশংসা করেছে।

তবে, ব্যস্ত সময়ে ক্যাব ভাড়া দ্বিগুণ হওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যারা কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য নিয়মিত ক্যাব ব্যবহার করেন, তাদের মাসিক পরিবহন খরচ অনেকটাই বেড়ে যাবে। নতুন এই নির্দেশিকা দেশের শহুরে পরিবহন ব্যবস্থায় কী ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Exit mobile version