
মোটরসাইকেল মানেই শুধু যাতায়াত নয়, এটি তারুণ্যের প্রতীক, স্টাইল আর স্বাধীন মনের প্রতিচ্ছবি। বিশেষত যারা কম বাজেটেই সেরা বাইক খুঁজছেন, তাদের জন্য রয়েছে দারুণ খবর! আজকের প্রতিবেদনে এমন তিনটি মোটরসাইকেলের হদিস দেওয়া হলো, যেগুলি দেড় লাখ টাকার মধ্যেই প্রিমিয়াম ফিট-ফিনিশ, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং নজরকাড়া স্টাইল নিয়ে হাজির। রোজকার অফিস বা কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বাইকপ্রেমী তরুণ – সবার জন্যই এই বাইকগুলো আদর্শ।
১. রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০: রেট্রো স্টাইলে আধুনিকতার ছোঁয়া
- দাম: ₹১.৪৯ লক্ষ (এক্স-শোরুম, দিল্লি)
রয়্যাল এনফিল্ডের নাম শুনলেই যাদের মনে রেট্রো লুক আর বাইকের গর্জন ভেসে ওঠে, তাদের জন্য হান্টার ৩৫০ এক অসাধারণ সংযোজন। সম্প্রতি নতুন রঙ এবং আপডেটেড ফিচার নিয়ে আসা এই বাইকটি দেখতে নিঃসন্দেহে দারুণ আকর্ষণীয়। এর ৩৪৯ সিসির সিঙ্গল সিলিন্ডার এয়ার-কুলড পেট্রোল ইঞ্জিন ২০ বিএইচপি পাওয়ার এবং ২৭ এনএম টর্ক জেনারেট করে, যা ৫-স্পিড গিয়ারবক্সের সঙ্গে যুক্ত। রয়্যাল এনফিল্ড ব্র্যান্ডের প্রতি যাদের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে, তাদের উইশলিস্টে এই বাইকটি থাকা চাই-ই চাই!
২. টিভিএস আপাচি RTR 200 4V: স্পোর্টি লুক, ফিচার লোডেড
- দাম: ₹১.৪৮ লক্ষ (এক্স-শোরুম, দিল্লি)
ভারতে ‘স্পোর্টি কমিউটার’ বাইকের ধারণা পালসার এবং অ্যাপাচে নিয়ে এসেছিল। দীর্ঘ বছর পেরিয়েও অ্যাপাচির জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি। টিভিএস অ্যাপাচি RTR 200 4V তার শার্প, মডার্ন ডিজাইন, স্টাইলিশ লুক এবং ফিচারে ঠাসা প্যাকেজ নিয়ে নজর কাড়ছে। ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, একাধিক রাইডিং মোড এবং অন্যান্য আধুনিক ফিচার এই বাইককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এতে রয়েছে ১৯৮ সিসির সিঙ্গল সিলিন্ডার পেট্রোল ইঞ্জিন, যা ২০ বিএইচপি পাওয়ার এবং ১৬.৮ এনএম টর্ক উৎপাদন করে। ৫-স্পিড গিয়ারবক্স এই বাইকের পারফরম্যান্সকে মসৃণ রাখে।
৩. বাজাজ পালসার NS160: তারুণ্যের প্রতীক, স্মুথ রাইডিংয়ের সঙ্গী
- দাম: ₹১.৪৫ লক্ষ (এক্স-শোরুম, দিল্লি)
বাজাজ পালসার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। নব্বইয়ের দশকের বহু তরুণ প্রজন্ম দাদা-কাকার পালসার নিয়ে বাইক চালানো শিখেছেন, আর সেখান থেকেই বাইকের প্রতি তাদের প্রেম শুরু। এই তালিকায় পালসার NS160 কে না রাখলে সত্যিই অন্যায় হবে! এর অ্যাগ্রেসিভ ডিজাইন, স্মুথ পারফরম্যান্স এবং আরামদায়ক রাইডিংয়ের জন্য এই বাইকটি নিঃসন্দেহে একটি সেরা পছন্দ। ১৬০ সিসির সিঙ্গল সিলিন্ডার পেট্রোল ইঞ্জিন থেকে ১৬ বিএইচপি পাওয়ার এবং ১৪ এনএম টর্ক পাওয়া যায়, যা শহর এবং হাইওয়ে – দুই জায়গাতেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়।
দেড় লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে বাজারে আরও অনেক বিকল্প থাকলেও, পারফরম্যান্স, ফিচার এবং ব্র্যান্ডিংয়ের দিক থেকে এই তিনটি বাইক বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। আপনার যদি স্টাইলিশ এবং নির্ভরযোগ্য একটি বাইকের প্রয়োজন হয়, তবে এই তিনটি মডেল আপনার পছন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকতে পারে।
দ্রষ্টব্য: উপরে উল্লিখিত দামগুলি সবই এক্স-শোরুম মূল্য। রাজ্য এবং শহর ভেদে কর যুক্ত হয়ে চূড়ান্ত দাম কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।