কিলার লুকে বাজিমাত করছে Jawa Perak , জেনেনিন এর বিশেষ ফিচার গুলো

Classic Legends Private Limited -এর তৃতীয় মোটরসাইকেল Jawa Perak। এটাই ভারতের বাজারে সবথেকে সস্তা ববার মোটরসাইকেল। Jawa Perak এর এক্স শো-রুম দাম 1.94 লক্ষ টাকা। কোম্পানির অন্য দুই মোটরসাইকেলের থেকে Perak -এ তুলনামূলক বড় ইঞ্জিন থাকছে। ইতিমধ্যেই এই মোটরসাইকেল লঞ্চ হলেও চলতি বছর এপ্রিল থেকে ডেলিভারি শুরু হবে।

সম্প্রতি Jawa -র ট্যুর অফ পাঞ্জাবে এই মোটরসাইকেলের প্রি-প্রোডাকশন প্রোটোটাইপ চালানোর সুযোগ পাওয়া গিয়েছিল। যদিও এই মোটরসাইকেল সম্পর্কে বিস্তারিত মতামত লঞ্চের পরে সম্পূর্ণ রিভিউ থেকেই পাওয়া যাবে। এই প্রতিবেদনে পাঞ্জাবের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা ও কয়েকটি হাইওয়েতে Jawa Perak চালানোর অভিজ্ঞতা জানানো হল।

কিলার লুক
Jawa Perak -এ রয়েছে ববার লুক। সামনে ও পিছনে রয়েছে তুলনামূলক ছোট ফেন্ডার। মোটরসাইকেলে শুধুমাত্র রাইডারের জন্য একটি মাত্র সিট থাকছে। কালো রঙের এই মোটরসাইকেলে রয়েছে কালো ইঞ্জিন। সিটের নীচে রয়েছে মনো শক সাসপেনশন। রাস্তা দিয়ে এই মোটরসাইকেল চালিয়ে গেলে লোকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতে বাধ্য হবে।

পারফরমেন্স
কোম্পানির অন্য দুই মোটরসাইকেলে 293cc ইঞ্জিন ব্যবহার হলেও Jawa Perak -এ রয়েছে 334cc ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনে সর্বোচ্চ 30 bhp শক্তি ও 31 Nm টর্ক পাওয়া যাবে। অন্যদিকে Jawa ও Forty-Two -র 293cc ইঞ্জিনে 27 bhp শক্তি ও 29 Nm টর্ক পাওয়া যায়। শুরুতেই নতুন ইঞ্জিনে খুব বেশি পার্থক্য বোঝা না গেলেও কিছু সময় পরে Jawa Perak ইঞ্জিনে বেশি সহনশক্তি অনুভূত হয়েছে।

Jawa Forty-Two ও Perak একের পর এক চালিয়ে খুব বেশি পার্থক্য বোঝা যাবে না। যদিও বেশি স্পিডে Perak ইঞ্জিন ভালো পারফর্ম করেছে। হাইওয়েতে টানা 125 কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলেছে Perak। অন্যদিকে Jawa ও Forty-Two সর্বোচ্চ 120 কিমি প্রতি ঘণ্টা গতি ঘরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। আমরা যে Perak চালিয়েছিলাম সেটা প্রি-প্রোডাকশন প্রোটোটাইপ। প্রোডাকশন মডেলের ইঞ্জিনে নতুন টিউনিং থাকতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy