দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (২৯ মে) এর উদ্বোধন করেন কলকাতা রেলের কমার্শিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হরিনারায়ন গাঙ্গুলী।
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল বন্ধ ছিল। আজ (রোববার) সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি পুনরায় চলাচল শুরু করেছে। একইভাবে ঢাকা স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস এরই মধ্যে কলকাতা স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
জানা গেছে, কলকাতা স্টেশন থেকে মোট ১৯ জন যাত্রী নিয়ে বন্ধন এক্সপ্রেসের পথ চলা শুরু হয়েছে নতুনভাবে। এর মধ্যে ১০ জন ভারতীয় ও ৯ জন বাংলাদেশি পর্যটক। মোট ১০ কামরার এ ট্রেনের চারটি এসি স্লিপার কোচ, চারটি চেয়ারকার একটি জেনারেটর কোচ ও একটি লাগেজ কোচ রয়েছে। এসি স্লিপার কোসের ভাড়া প্রায় ১২০০ টাকা ও চেয়ার কারের ভাড়া প্রায় ৮০০ টাকা।
কলকাতা স্টেশন থেকে খুলনা পর্যন্ত পৌঁছাতে বন্ধন এক্সপ্রেস সময় নেবে প্রায় ৫ ঘণ্টা। সিআরপিএফ বিএসএফ ও জিআরপির কড়া নিরাপত্তায় যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের কাজ করিয়ে ট্রেনে তোলা হয়।
ল্যান্ড পোর্ট থেকে যাওয়া অনেক অসুবিধাজনক, বেনাপোল বর্ডারে অনেকটা সময় নষ্ট হয়। তবে এখানে সেই সমস্যা নেই। সময়ও কম লাগছে, তাই ঘুরতে আসা পর্যটকরা বন্ধন এক্সপ্রেসকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া ভারতীয় এক যাত্রী জানান, ট্রেনযাত্রা অনেকটাই আরামদায়ক। আজ ভিড়ও কম আছে। অনেকেই ট্রেন চালুর খবর পাননি। আজকের পর খবর জানাজানি হলে ট্রেনে ভিড় হবে বলেই তিনি মনে করেন।
দীর্ঘ টালবাহানার পর কলকাতা থেকে বন্ধন এক্সপ্রেস ও ঢাকা থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হলেও এখন দেখার বাকি দুই দেশের যাত্রীরা এর কতটুকু সুবিধা নিতে পারছে।