যেকোনও বিচ্ছেদই দুঃখের। নানাবিধ কারণে বিয়ের পর ডিভোর্স হতে পারে। মনের অমিল, কিংবা অন্য কোনও বিষয়। তবে বিবাহবিচ্ছেদের সঙ্গে যেহেতু শুধু দুটি মানুষের মধ্যে মানসিক বিচ্ছেদ ঘটে না। এর সঙ্গে জড়িতে থাকে দুই পরিবার বা সন্তানের ভাগ্যও। তাই ডিভোর্সের পর দুম করে জীবনটা অনেকটাই পালটে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়টা একটু সচেতন হতে হবে। না হলে জাঁকিয়ে বসতে পারে মানসিক অবসাদ। কীভাবে সামলাবেন? রইল টিপস–
১. বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রত্যেকরই পথ কিন্তু আলাদা হয়ে যায়, আলাদা কাজ, আলাদা জগৎ তৈরি হয়। তাই ডিভোর্সের পর প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রীকে প্রয়োজনে পেয়ে যাবেন, এমনটা আশা না করাই ভাল। তাই আগে থেকেই এ বিষয়টা নিয়ে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নিন।
২. প্রাক্তনের পিছনে আঠার মতো লেগে না থাকাই ভাল। সে তার জীবনে কী করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কী স্ট্যাটাস দিচ্ছে, সেগুলো কিন্তু এখন আর আপনার ভাবার বিষয় নয়। তাই এসব থেকে দূরে থাকাই ভাল।
৩. ডিভোর্সের পর প্রত্যেকেই একটি কষ্টকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যান। এটি থেকে বেরিয়ে আসতে এবং নিজেকে আবারও মানসিকভাবে শক্তিশালী করতে কিন্তু সঠিক কাউন্সেলিং খুব জরুরি। তাই প্রয়োজনে কাউন্সিলিং করুন। মনোবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।
৪. অনেকেই বিবাহবিচ্ছেদের পর প্রাক্তন স্বামী বা স্ত্রীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজে কথা লিখতে থাকে। তারা ভাবে, এতে ওই ব্যক্তিটি অপদস্ত হবে। এই কাজটি করা একদম উচিত হবে না। এতে আপনার ব্যক্তিত্বের ওপরই বাজে প্রভাব পড়বে।
৫. আসলে বিচ্ছেদের পর অনেকে এতটাই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে যে নিজেকে সবার কাছ থেকে আলাদা করে ফেলে। এটি না করাই উচিত। এ সময় ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করুন।
৬. বিবাহবিচ্ছেদের পর অনেকে এতটাই একাকিত্বে ভোগে যে খুব দ্রুত আরেকটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অনেকে এটাকে সঠিক মনে করে, আবার অনেকে একটু ধীরে -সুস্থে এগোতে চায়। তাই যাই করবেন একটু ভাবনা চিন্তা করে। কারণ, ফের ভুল সম্পর্কে না জড়ানোই ভাল।