পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য আকাদেমির নামাঙ্কিত প্রথমবারের মতো দেয়া ‘রিট্রিভার্সিপ’ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। খবর আনন্দবাজারের।
সোমবার (৯ মে) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরণে ‘কবি প্রণাম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।
এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু বলেন, ‘সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি যারা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন, তাদের পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা আকাদেমি। প্রথম বছর বাংলার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকের মতামত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থকে মাথায় রেখে সার্বিক ভাবে তার সাহিত্য কীর্তির জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি পুরস্কার গ্রহণ করেননি। তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন ব্রাত্য বসু।
পুরস্কার গ্রহণের আগে মুখ্যমন্ত্রীকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন ব্রাত্য বসু। এর পর ইন্দ্রনীল ব্রাত্য বসুর হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেন।
মমতার পুরুস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কটাক্ষ করে বলেন ‘আপাং-ঝপাং-বাপাং, হাম্বা-সাম্বা-গাম্বা লিখে এই পুরস্কার পেয়েছেন। তবে এটা কে লেখে আমি জানি। আমিও ওর ভিতরেই ছিলাম। আসলে রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন এই পুরস্কার বাংলার সাহিত্য-সংস্কৃতির অপমান। প্রভাব খাটিয়ে এই পুরস্কার তিনি অন্য দিনও নিতে পারতেন।’ ইতিমধ্যে শুভেন্দুর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে শোরগোল।