মাওবাদীদের শেষ দিন ঘনিয়ে আসছে? গত ১০ বছরে নিকেশ ১৮৬১, শাহের মন্ত্রকের রিপোর্টে চাঞ্চল্য

মাওবাদী দমনে গত এক দশকে বেনজির সাফল্যের দাবি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, গত ১০ বছরে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে মোট ১৮৬১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬ হাজার ৩৩৬ জনেরও বেশি নেতা-কর্মীকে এবং আত্মসমর্পণ করেছেন ৯৫৮৮ জন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের লক্ষ্য ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে সিপিআই (মাওবাদী)-কে সম্পূর্ণ নির্মূল করা। সেই লক্ষ্যপূরণেই যে বাহিনী সঠিক পথে এগোচ্ছে, এই পরিসংখ্যান তারই ইঙ্গিত।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি অনুযায়ী, ২০২৫ সালটি মাওবাদী দমনে ‘সর্বাধিক সাফল্যের বছর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। চলতি বছরেই ৩৩৫ জন মাওবাদী খতম হয়েছেন এবং আত্মসমর্পণ করেছেন ২১৬৭ জন, যা একটি সর্বকালীন রেকর্ড। ওড়িশার কন্ধমলে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গণেশ উইকে-র মৃত্যু এবং ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে মাওবাদীদের সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র কোমর ভেঙে দেওয়া—এই সাফল্যের নেপথ্যে বড় ভূমিকা নিয়েছে। সরকারের দাবি, সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে টার্গেট করায় মাওবাদীদের সাংগঠনিক কাঠামো এখন কার্যত ধ্বংসের মুখে।

তথ্য বলছে, একসময়ে দেশে মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১২৬টি থাকলেও ২০২৫-এর অক্টোবরে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১১টিতে। বর্তমানে ছত্তীসগঢ়ের সুকমা, বিজাপুর ও নারায়ণপুর জেলাকেই ‘অতি উপদ্রুত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে মাওবাদী হামলার ঘটনা ৮১ শতাংশ কমেছে। ২০০৪-২০১৪-র তুলনায় ২০১৫-পরবর্তী সময়ে প্রাণহানির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। নর্থ ব্লকের হিসাব অনুযায়ী, রেড করিডরে মাওবাদীদের সংখ্যা এখন মাত্র শ’দুয়েকের মধ্যে সীমাবদ্ধ।