যাত্রীদের স্বাগত জানালেন খোদ গৌতম আদানি! সূর্যকুমার থেকে মিতালি রাজ—তারকাদের ভিড়ে মধ্যমণি যখন সাধারণ কর্মী।

ইট-কাঠ-পাথরের স্থাপত্য তো অনেক হয়, কিন্তু নভি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (NMIA) তার যাত্রা শুরু করল এক অনন্য মানবিক ছোঁয়ায়। জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের বদলে গুরুত্ব পেল হাজার হাজার শ্রমিকের ঘাম আর মেহনত। উদ্বোধনী রাতে আকাশের ড্রোন শো থেকে শুরু করে টার্মিনালের ভেতর তারকাদের উপস্থিতি—সবকিছুতেই মিশে ছিল আভিজাত্যের বদলে আন্তরিকতা।
শ্রমিকই যখন ভিআইপি সাধারণত বড় প্রকল্পের উদ্বোধনে বড় বড় মঞ্চ থাকে, কিন্তু NMIA-তে দৃশ্য ছিল ভিন্ন। ভারতীয় ক্রিকেট তারকা সূর্যকুমার যাদব, ফুটবল আইকন সুনীল ছেত্রী এবং মিতালি রাজকে দেখা গেল নির্মাণ শ্রমিক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং পরমবীর চক্র বিজয়ীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটতে। এখানে তারকারা অতিথি ছিলেন না, ছিলেন এক বিশাল কর্মযজ্ঞের অংশীদার।
গৌতম আদানির সৌজন্য ও ‘অতিথি দেবো ভব’ সবচেয়ে বড় চমক ছিল যাত্রীদের জন্য। প্রথম ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের স্বাগত জানাতে গেটে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন খোদ গৌতম আদানি। কোনো প্রোটোকল ছাড়াই তিনি সাধারণ কর্মীদের সাথে মিশে গিয়ে যাত্রীদের তিলক পরিয়ে এবং পুষ্পবৃষ্টিতে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরের হাই-টেক সুযোগ-সুবিধার মাঝেও ভারতীয় ঐতিহ্যের এই ছোঁয়া যাত্রীদের মুগ্ধ করেছে।
ভাইরাল সেই জাতীয় সঙ্গীত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে—শ্রমিক, সিপাহী, খেলোয়াড় এবং শীর্ষ নেতৃত্ব সবাই একসাথে দাঁড়িয়ে আবেগঘনভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন। নেটিজেনরা বলছেন, “এটি কেবল একটি উদ্বোধন ছিল না, এটি ছিল কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যম।” NMIA প্রমাণ করল, সবচেয়ে শক্তিশালী স্থাপত্যের ভিত্তি কেবল ইস্পাত নয়, মানুষের মূল্যবোধ।