খুন করে খাটের ওপর ফেলে রাখলেন দেহ! পুলিশ আসতেই রেললাইনে দৌড়, মর্মান্তিক পরিণতি স্বামীর।

দিল্লির কস্তুরবা নগর এলাকায় ঘটে গেল এক হাড়হিম করা ঘটনা। মাত্র ২০ টাকা নিয়ে সামান্য বিবাদ যে এমন ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি পড়শিরা। ৪৮ বছর বয়সী কুলবন্ত সিং তাঁর ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী মাহিন্দর কৌরকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর নিজেও ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে কুলবন্ত বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে মাত্র ২০ টাকা চেয়েছিলেন। মাহিন্দর টাকা দিতে অস্বীকার করায় শুরু হয় তুমুল ঝগড়া। রাগের মাথায় কুলবন্ত বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে মাহিন্দরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় স্ত্রীর দেহ একটি শালে জড়িয়ে ছাদে একটি খাটের ওপর ফেলে রাখেন। দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে এক ছেলে শিবচরণ বাড়িতে ফিরে মায়ের নিথর দেহ উদ্ধার করেন। প্রথমে পরিবারটি বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হয় যে এটি একটি হত্যাকাণ্ড।
রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই কুলবন্ত বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পুলিশ জানতে পারে তাঁকে রেললাইনের কাছে দেখা গেছে। যখন তদন্তকারীরা সেখানে পৌঁছান, পুলিশ দেখে দৌড়াতে শুরু করেন কুলবন্ত। শেষ পর্যন্ত পালানোর পথ না পেয়ে দ্রুত গতিতে আসা একটি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাত্র কয়েকদিন আগেই গত ৪ঠা ডিসেম্বর ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন এই দম্পতি। আনন্দ উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই এমন মর্মান্তিক ধ্বংসলীলায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।