টাকা ফেরাবে কে? পুলিশের স্ক্যানারে শতদ্রুর ৩ মোবাইল ও ৬ স্পনসর সংস্থা, পর্দাফাঁস হতে চলেছে বড়সড় কেলেঙ্কারির!

কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির সফর ঘিরে যে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তার তদন্তে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। ভিড় সামলাতে ব্যর্থতা ছাপিয়ে এখন মূল নজর আর্থিক লেনদেন এবং টিকিট বিক্রির কয়েক কোটি টাকার দিকে। বুধবার এই মামলার মূল আয়োজক শতদ্রু দত্ত এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রয়কারী সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্টকে মুখোমুখি বসিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরা করল বিধাননগর পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)।

জেরার মুখে শতদ্রু দত্ত দাবি করেছেন, টিকিট বিক্রির টাকা এখনও তাঁর হাতে পৌঁছায়নি। সেই টাকা ফেরত পেলেই তিনি দর্শকদের রিফান্ড বা টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন। অন্যদিকে, টিকিট সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্টের বয়ান সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, চুক্তিমতো বিক্রিত টাকার একটি বড় অংশ ইতিপূর্বেই আয়োজকের সংস্থায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরস্পরবিরোধী বয়ানে তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে, বড় কোনো আর্থিক নয়ছয় হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই টিকিট সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে যে, বাকি থাকা টাকা যেন এখনই কাউকে না পাঠানো হয় এবং ওই তহবিল ফ্রিজ করা হয়েছে।

তদন্ত আরও গভীরে নিয়ে যেতে শতদ্রুর তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ মনে করছে, এই ফোনগুলির চ্যাট এবং কল রেকর্ড থেকেই স্পনসর এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের আসল হদিশ মিলবে। এছাড়া ইভেন্টের সঙ্গে যুক্ত ৬টি বড় কর্পোরেট স্পনসর সংস্থাকেও তলব করেছে বিধাননগর সিটি পুলিশ। হাজার হাজার দর্শক টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে না পাওয়ায় যে জনরোষ তৈরি হয়েছে, তার বিচার দিতেই পুলিশ এখন প্রতিটি আর্থিক নথিপত্র স্ক্যান করছে।

Dipak Barman01
  • Dipak Barman01