মতুয়া গড়ে ধুন্ধুমার! শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ ও মারপিট, মমতাবালার অভিযোগে প্রথম গ্রেফতার।

মতুয়া ঠাকুরবাড়ির অন্দরে দুই গোষ্ঠীর লড়াই এবার থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়াল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাসভবনের সামনে মমতাবালা ঠাকুরের অনুগামীদের ওপর হামলার অভিযোগে বরুণ বিশ্বাস নামে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি বাগদা থানার পুরাতন হেলেঞ্চার বাসিন্দা এবং শান্তনু ঠাকুরের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। বুধবারের ওই সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই বনগাঁর রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে।
ঘটনার সূত্রপাত শান্তনু ঠাকুরের একটি বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের বাদ দিতে গিয়ে যদি এক লক্ষ মতুয়ার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তাতে ক্ষতি নেই। এই মন্তব্যের প্রতিবাদে এবং এসআইআর (SIR) খসড়া তালিকায় নাম বাদ পড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ মতুয়ারা শান্তনুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যান। অভিযোগ, সেই সময় শান্তনুপন্থীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয়। এই ঘটনায় শান্তনু ঠাকুর ও বিজেপি জেলা সভাপতিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মমতাবালা ঠাকুর।
ধৃত বরুণ বিশ্বাস অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “আমি ঘটনাস্থল থেকে ৩০ কিমি দূরে ছিলাম, সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সত্যিটা বোঝা যাবে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” অন্যদিকে, মমতাবালা ঠাকুর পুলিশের এই পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, “প্রশাসন দারুণ কাজ করেছে, বাকিদেরও ধরা হোক।” পালটা শান্তনু ঠাকুরও প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই নিয়ে অভিযোগ পাঠিয়েছেন। দুই মতুয়া নেতার এই আইনি লড়াইয়ে এখন সরগরম ওপার বাংলার শরণার্থী রাজনীতি।