ভারত-চীন বন্ধুত্বে কি ‘কাঁটা’ আমেরিকা? পেন্টাগনের বিস্ফোরক রিপোর্টে তোলপাড় বিশ্ব রাজনীতি!

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই বিশ্ব রাজনীতির সমীকরণ দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে। ঠিক এই আবহে পেন্টাগনের একটি সাম্প্রতিক রিপোর্টকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বাদানুবাদ। আমেরিকার দাবি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার আড়ালে চীনের আসল উদ্দেশ্য হলো ভারত-মার্কিন ঘনিষ্ঠতা কমানো। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই বেইজিং পালটা দাবি করেছে, ভারত ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

পেন্টাগনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর উত্তেজনা কমিয়ে বেইজিং আদতে নয়াদিল্লিকে ওয়াশিংটনের থেকে দূরে সরাতে চাইছে। এমনকি এই রিপোর্টে অরুণাচল প্রদেশকে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরের মতো ‘মূল স্বার্থ’ সংঘাতপূর্ণ এলাকার তালিকায় রাখা হয়েছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান এই রিপোর্টের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “ভারত ও চীনের সীমান্ত ইস্যু একান্তই নিজস্ব বিষয়। আমেরিকা এখানে প্রতিরক্ষা নীতি বিকৃত করে দেখাচ্ছে। আমরা অন্য কোনো দেশের হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী।”

উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকে চলা সীমান্ত উত্তেজনার পর গত অক্টোবর মাসে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। সেনা প্রত্যাহার ও টহলদারি নিয়ে সমঝোতাও হয়েছে। তবে পেন্টাগনের মূল্যায়ন বলছে, চীন কৌশলে ভারতকে আমেরিকার প্রভাবমুক্ত করতে চাইছে। যদিও ভারত এই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে জমে থাকা পারস্পরিক অবিশ্বাস এখনো একটি বড় ফ্যাক্টর।

Dipak Barman01
  • Dipak Barman01