বঙ্গোপসাগরে ড্রাগনের যম! ‘আইএনএস অরিঘাত’ থেকে কে-৪ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ, কাঁপছে চীন-পাক

ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত! মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে গর্জে উঠল ভারতের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কে-৪ (K-4)। বিশাখাপত্তনম উপকূলের কাছে পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন ‘আইএনএস অরিঘাত’ থেকে এই সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়েছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ভারত তার ‘নিউক্লিয়ার ট্রায়াড’ বা জল-স্থল-আকাশ থেকে পরমাণু হামলার ক্ষমতাকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেল। ৩,৫০০ কিলোমিটার পাল্লার এই মিসাইলটি এখন চীন ও পাকিস্তানের যেকোনো কোণে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম।

কে-৪ হলো একটি অত্যাধুনিক কঠিন জ্বালানিচালিত সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল (SLBM)। সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা সাবমেরিন থেকে এটি যখন উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন শত্রুপক্ষের রাডারের পক্ষে এর হদিস পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ডিআরডিও (DRDO) এবং নৌবাহিনীর এই যৌথ সাফল্য ভারতকে বিশ্বের সেই গুটিকয়েক দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে বসাল, যাদের হাতে সমুদ্রের তলদেশ থেকে পারমাণবিক হামলা চালানোর পূর্ণ শক্তি রয়েছে।

সম্পূর্ণ স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আইএনএস অরিঘাত’ ভারতের দ্বিতীয় পরমাণু সাবমেরিন। ১১৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এই ডুবোজাহাজটি কেবল কে-৪ নয়, ৭৫০ কিমি পাল্লার কে-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র এবং শক্তিশালী টর্পেডো বহন করতেও সক্ষম। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাফল্য ভারতের ‘সেকেন্ড স্ট্রাইক’ বা দ্বিতীয় আঘাত হানার ক্ষমতাকে সুনিশ্চিত করল। অর্থাৎ, দেশ আক্রান্ত হলেও সমুদ্রের তলা থেকে ভারত পাল্টা বিধ্বংসী জবাব দিতে পারবে। আগামী বছরের মধ্যেই এই সিরিজের তৃতীয় সাবমেরিনটি হাতে পেতে চলেছে ভারতীয় নৌবাহিনী, যা ভারতের কৌশলগত আধিপত্যকে আরও মজবুত করবে।

Dipak Barman01
  • Dipak Barman01