শুনানির আগেই বড় ধাক্কা! ১০০ জন মাইক্রো অবজার্ভারের ‘না’, ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে চিন্তায় কমিশন

আগামী ২৭ ডিসেম্বর, শনিবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া বা ভোটার তালিকা সংশোধনের গুরুত্বপূর্ণ শুনানি। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার ঠিক আগেই বড়সড় বিপাকে পড়ল নির্বাচন কমিশন। বুধবার নজরুল মঞ্চে প্রায় ৪৬০০ মাইক্রো অবজার্ভারের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ১০০ জন কর্মী কাজে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন। ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে ১০০ জন কর্মী পিছিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কমিশনের কর্তাদের। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই কর্মীদের বিরুদ্ধে কমিশন কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করবে কিনা।

এরই মধ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও নিশ্ছিদ্র করতে একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার থেকে ভোটারদের জমা দেওয়া প্রতিটি নথি বিএলও (BLO) অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, ইসিআইনেট-এ (ECINet) তথ্য পৌঁছানোর পাঁচ দিনের মধ্যেই সেই নথির সত্যতা যাচাই করতে হবে। যদি কোনও নথি অন্য জেলার হয়, তবে সেই জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে সেটি যাচাই করতে হবে। এমনকি নথি যদি রাজ্যের বাইরের হয়, তবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সিইও-র মাধ্যমে দ্রুত ভেরিফিকেশন সেরে ফেলতে হবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যোগ্যতার প্রমাণপত্র এবং আগের ডেটা-ম্যাপিং সরাসরি অ্যাপে আপলোড করতে হবে। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা নথি প্রদানকারী দফতরের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে তা কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন। এই কড়াকড়ির মূল লক্ষ্য হলো ভুয়া ভোটার বাদ দেওয়া এবং তালিকায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা। একদিকে যখন ডিজিটাল নজরদারি বাড়ছে, অন্যদিকে কর্মীদের কাজে যোগ না দেওয়ার প্রবণতা শুনানি প্রক্রিয়ায় কতটা প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

Dipak Barman01
  • Dipak Barman01