জমি ক্রেতাদের বড় শিক্ষা! পরিকাঠামোর অভাব দেখিয়ে বকেয়া মেটাতে দেরি করলেই লোকসান, কড়া বার্তা হাইকোর্টের।

দিল্লিতে জমি বা প্লট কেনার পরিকল্পনা করছেন? তবে দিল্লি হাইকোর্টের সাম্প্রতিক এই রায় আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, যদি দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ডিডিএ) “যেমন আছে যেখানে আছে” (As is where is basis) ভিত্তিতে কোনও প্লট নিলাম করে, তবে রাস্তা, জল বা বিদ্যুতের মতো পরিষেবার অভাব দেখিয়ে ক্রেতা পরবর্তীতে অর্থ প্রদান অস্বীকার করতে পারবেন না।

ঘটনার প্রেক্ষাপট: বিতর্কটির সূত্রপাত ২০০৭ সালে, যখন ডিডিএ দ্বারকা সেক্টর ২০-এ একটি বাণিজ্যিক প্লট নিলাম করেছিল। এক ক্রেতা ১৭.৫১ কোটি টাকায় প্লটটি জেতেন এবং নিয়ম অনুযায়ী ২৫ শতাংশ বা প্রায় ৪.৪৫ কোটি টাকা বায়না হিসেবে জমা দেন। কিন্তু পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে বাকি ৭৫ শতাংশ টাকা দিতে তিনি ব্যর্থ হন। প্রথমে ব্যক্তিগত কারণ এবং পরে এলাকায় জল, বিদ্যুৎ ও নিকাশি ব্যবস্থার অভাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তিনি টাকা দেওয়া বন্ধ রাখেন।

হাইকোর্টের কড়া অবস্থান: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর দিল্লি হাইকোর্ট ডিডিএ-র পক্ষেই রায় দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে:

  • নিলামের আগে ক্রেতা জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন এবং শর্তাবলীতে সম্মত হয়েছেন।

  • পুরো টাকা পরিশোধ করার আগে পরিকাঠামো সরবরাহ করতে ডিডিএ আইনিভাবে বাধ্য নয়।

  • বায়না টাকা বা আর্নেস্ট মানি (Earnest Money) কেবল জরিমানা নয়, বরং চুক্তি সম্পন্ন করার গ্যারান্টি। ক্রেতা পিছিয়ে গেলে সরকারি সংস্থার যে ক্ষতি হয় (সময় নষ্ট, পুনঃনিলাম খরচ), তা মেটাতেই এই টাকা বাজেয়াপ্ত করা যুক্তিযুক্ত।

ক্রেতাদের জন্য শিক্ষা: আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ৪.৪৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা সম্পূর্ণ বৈধ। তাই ডিডিএ বা অন্য কোনও সরকারি সংস্থা থেকে জমি কেনার সময় “যেমন আছে” শর্তটি ভালো করে বুঝে নেওয়া জরুরি। চুক্তির পর পরিষেবার অভাবের অজুহাত দেখিয়ে টাকা আটকানো এখন থেকে আর চলবে না