বড়দিনের সেরা উপহার! যীশু খ্রিস্টের দেওয়া এই ১০টি শিক্ষা যা আধুনিক যুগেও সমান প্রাসঙ্গিক।

আজ ২৫শে ডিসেম্বর, বিশ্বজুড়ে আনন্দ ও উল্লাসে পালিত হচ্ছে বড়দিন বা ক্রিসমাস। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব হলেও, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আজ মানুষ মেতে উঠেছেন প্রভু যীশু খ্রিস্টের জন্মজয়ন্তীতে। যীশু কেবল একটি ধর্মের প্রচারক ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্বমানবতা, দয়া এবং অহিংসার মূর্ত প্রতীক। তাঁর জীবনদর্শন এবং শিক্ষা আজও কোটি কোটি মানুষকে সত্যের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করে। বড়দিনের এই পুণ্যলগ্নে আমরা তুলে ধরছি প্রভু যীশুর ১০টি অত্যন্ত মূল্যবান ও জীবনমুখী শিক্ষা:

১. ভালোবাসার সংজ্ঞা: যীশু বলতেন, যারা তোমাদের ভালোবাসে শুধু তাদের ভালোবাসলে কোনো কৃতিত্ব নেই; প্রকৃত ভালোবাসা হলো শত্রুকেও আপন করে নেওয়া। ২. অহংকার ত্যাগ: যারা নিজেদের উচ্চ মনে করে তারা লজ্জিত হবে, আর যারা বিনয়ী তারাই প্রকৃত সম্মান পাবে। ৩. সম্পদ ও স্বর্গ: ধনী ব্যক্তির স্বর্গে প্রবেশ করার চেয়ে সূঁচের ছিদ্র দিয়ে উটের প্রবেশ করা সহজ—অর্থাৎ লোভ ত্যাগ না করলে আধ্যাত্মিক মুক্তি অসম্ভব। ৪. আত্মার গুরুত্ব: কেউ যদি গোটা পৃথিবী জয় করে কিন্তু নিজের আত্মাকে হারায়, তবে তার জয় বৃথা। ৫. শত্রুর জন্য প্রার্থনা: যারা তোমার ক্ষতি করতে চায়, তাদের জন্যও প্রার্থনা করো। ৬. অন্তরের শক্তি: তোমার ভেতরে যা আছে তাই তোমাকে রক্ষা করবে। নিজের ভেতরের সৎ গুণাবলিকে বিকশিত করো। ৭. সত্যের পথ: মানুষ কেবল রুটি খেয়ে বেঁচে থাকে না, বরং ঈশ্বরের প্রতিটি বাণী বা সত্যের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। ৮. পার্থিব জগত: যীশু বলতেন, আমার রাজ্য এই নশ্বর জগতের নয়, এটি এক আধ্যাত্মিক জগত। ৯. দান ও সেবা: ধার্মিক জীবন পেতে হলে নিজের অতিরিক্ত সম্পদ দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দাও। ১০. মানবিক আচরণ: চুরি, হত্যা বা লোভ করো না। তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতোই ভালোবাসো।

প্রভু যীশুর এই শিক্ষাগুলো আমাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং সমাজে শান্তি বজায় রাখতে অমূল্য পাথেয়।