দেউলিয়া হওয়ার পথে বাংলাদেশ? ২১ ট্রিলিয়ন ঋণের পাহাড় আর চরম অরাজকতায় কাঁপছে ওপার বাংলা!

এক সময়ের উদীয়মান অর্থনীতি আজ খাদের কিনারায়। রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি, ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদ এবং সংখ্যালঘুদের ওপর লাগাতার সহিংসতার খবরে বিশ্বজুড়ে কোণঠাসা বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে দেশটিতে যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। বিনিয়োগ শূন্যে ঠেকেছে, রাজস্ব আদায় তলানিতে এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি দেশটিকে এক গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

ভয়াবহ ঋণের বোঝা: পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের অবস্থা এখন ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন’ দেখার মতো। গত এক বছরে সরকারি ঋণ বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। ২০২৫ সালের জুন নাগাদ এই ঋণের পরিমাণ ২১ ট্রিলিয়ন টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের ঋণ-রপ্তানি অনুপাত এখন ১৬২ শতাংশ, যা বিপদসীমার অনেক উপরে। রপ্তানি বাণিজ্য যদি আরও মার খায়, তবে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়া এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

ভারতের ওপর নির্ভরতা: এত টানাপোড়েনের মধ্যেও বাংলাদেশের পরম বন্ধু হিসেবে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত। চরম খাদ্য সংকট মেটাতে সম্প্রতি ভারত থেকে ভর্তুকি মূল্যে ৫০,০০০ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্কে শীতলতা থাকলেও, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভারতের আর্থিক সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশের চলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উগ্রবাদের উত্থান রুখতে না পারলে এবং অর্থনৈতিক সংস্কার না করলে, ওপার বাংলার ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।